ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মূল উৎস আল কুরআন। কুরআন হলো মহান প্রতিপালক আল্লাহর পক্ষ থেকে কিয়ামাত অবধি মানুষের জন্যে নির্ভূল হোদায়েত গ্রন্থ (সুত্র-সূরা আল বাকারা-2:185,সূরা আযম যুমার-39:41, সুরা আলে ইমরান-3:138 সূরা ইবরাহিম-14:31)। নাযিল হওয়ার পর থেকে যার কোন সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজন কিংবা সংস্কারণ প্রয়োজন হয়নি, কস্মিনকালেও প্রয়োজন হবে না।
একটি ছোট আয়াতও কিয়ামত পর্যন্ত কেউ বানাতে পারবে না, এমনকি একটি শব্দেরও রদবদল বা বিকৃতি ঘটানো কারো পক্ষে সম্ভভ হবে না। কারণ ঐ কিতাব সংরক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বজাহানের পালনকর্তা আল্লাহতায়ালা (সূরা আল হিজর/15:9)।
আল কুরআনের বিষয়বস্তু মানুষ (সুত্র-সূরা আল বাকারা-2:185, সুরা আল ইমরান-3:138, সূরা আন নিসা-4:105)। আর এই কুরআনই হলো মানুষের একমাত্র জীবন যাপনের বিজ্ঞান। এর অনুসরণ দুনিয়ার জীবনে যেমন কাঙ্খিত সফলতা আসবে তেমনি মৃত্যুর পর অনন্ত জীবনে নিয়ে আসবে চিরস্থায়ী কল্যাণ। অর্থাৎ- তবে আমার নিকট থেকে তোমাদের কাছে হেদায়াত আসবে, অতঃপর যারা আমার বিধান মেনে চলবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তাদের চিন্তিত হওয়ারও কোন কারণ নেই। (সূরা আল বাকারা/2:38)।
আল্লাহর কিতাব আল কুরআনের ভাষা আরবি (সূরা ইউসুফ-12:02), যার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে, যিনি কুরআনের ব্যাখ্যাতা, প্রয়োগকারী এবং বাস্তব মডেল হযরত মুহাম্মদ সাঃ- তার ভাষাও আরবি। অর্থ না বুঝার কারণে বর্তমান মুসলিম সমাজে কুরআন জানা ও মানার চিত্র আশানুরূপ নয়। কুরআনে মহান আল্লাহ যা বুঝাতে চেয়েছেন, রাসূল সাঃ সঠিকভাবে তারঁ সাহাবায়ে রঃ কোরামদের হুবহু তা বুঝিয়েছিলেন।
এ কথার যথার্থতা পাওয়া যায় ইসলামের সোনালী যুগে সাহাবাদের র. ব্যক্তিগত ও সামাজিক অবস্থার অগ্রগতি দেখলে। পরবর্তীতে মুসলমানগন এর অর্থ ও প্রয়োগ হারিয়ে ফেলেছে, কু্রআনের আলোকে জীবন পুনগর্ঠন ও পরিবর্তন বাদ রেখে অনেকের নিকট মূখ্য হয়ে উঠছে তেলাওয়াতের দশ নেকির ফজিলত আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কুরআন তেলঅওয়াতে হরফ ভিত্তিক দশ নেকির কথা হাদীসে উল্লেখ করা আছে।
ঠিকই- কিন্তু কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ করা। সুতরাং বহুভাষী মানুষের দায়িত্ব হলো আল কুরআনের ভাষা শিক্ষা করা। আল কুরআন থেকে সরাসরি জ্ঞান অর্জন এবং আমল করা। এই বইয়ে আপনারা কোরআন সম্পর্কে সব তথ্য ইত্যাদি জানতে পারবেন । বইটি যদি পড়তে চান তাহলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।