অনেক ব্যক্তির ভ্রান্ত ধঅরণা রয়েছে যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা। প্রকৃতপক্ষে মানুষ যখন এ পৃথিবীতে পদচারণা শুরু করে, তখন থেকেই ইসলামের অস্তিত্ব বিদ্যমান। সর্বশক্তিমান আল্লা এ পৃথিবীতে অনেক অহী ও অনেক রাসূল পাঠিয়েছেন সঠিক পথপ্রদর্শক হিসেবে। পূর্ববর্তী সব নবী-রাসূল শুধু তাঁর জনগণ ও জাতির জন্য এবং তার আনীত বাণী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বহাল ছিল।
ঐ কারনে তাঁরা যে মোষেজাগুলো প্রদর্শন করেছেন, যেমন সাগরকে বিভক্তিকরণ, মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা এগুলো ঐ সময়ের জন্য, যা আমাদের পক্ষে আজ আর পরীক্ষা করা সম্ভব নয়বী মুহাম্মদ সা. পূর্ণ মানবতার জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং তাঁর বাণী চিরস্থায়ী। আল কুরআনের সূরা আম্বিয়ায় উল্লেখ আছে, “আমি আপনাকে জগতবাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।”
যেহেতু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল এবং তাঁর বাণী ছিল চিরস্থায়ী এজন্য তাঁকে আল্লহ প্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন, যেগুলো হাদীস শরীফে উল্লেখ পাওয়া যায়, তবুও তিনি এর ওপর জোর দেন নি। যাঁরা মুসলমান তাঁরা এ সব অলৌকিক ক্ষমতায় এক বাক্যে বিশ্বাস স্থাপন করেন।
- পবিত্র কুরআন হলো চুড়ান্ত মুজিযা
সংক্ষেপে বলা যায় মুজিযার মুজিযা। সম্ভবত একটা বিষয় মুসলামান ও বিধর্মীদের কাছে সাধারণ যে, প্রথমবার আরবের মক্কা নগরীতে ষষ্ঠ শতাব্দীতে হযরত মুহাম্মদ সা. নামে এক ব্যক্তি যিনি আল কুরআন তিলাওয়াত করেছিলেন।