মানুষের শরীরটাই আসল মানুষ নয়। শরীরের মধ্যে যে রূহ (আত্মা) আছে সেটাই মানুষ। দুনিয়ার যত মানুষ ছির, যত মানুষ আছে, আর যত হবে, সব মানুষের রূহ আগেই তৈরী হয়েছে। কোথায় এসব রূপ থাকে তা আমাদের জানার উপায় নেই। যখনই আল্লাহ কোন রূহকে দুনিয়ায় পাঠাতে চান তখনি তার জন্য মায়ের পেটে মানুষের একটা ছোট শরীর তৈরি এর মধ্যে রূহ দেন।
জন্মের পর সেই শরীরটা আস্তে আস্তে বড় হয়। দুনিয়ায় এ শরীরটা দিয়ে মানুষ সব কাজ করে। যখন মানুষ মরে তখন শুধু শরীটাই হবে। রূহ আবার শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে কোথায় থাকে এবং কিভাবে থাকে তা দুনিয়ার থেকে বুঝা যায় না।
যদ্দিন এ দুনিয়া চলতে থাকবে তদ্দিন এ সব রূহ এভাবেই থাকবে। দুনিয়ায় যারা আল্লাহর কথামতো কাজ করেছে তারা সেখানে আরামেই থাকবে। আর যারা খারাপ কাজ করে গেল তারা দুঃখেই থাকবে। একদিন এমন হবে যে এ দুনিয়া ভেঙ্গে যাবে। সেদিনই হলো কেয়ামতের দিন। আবার আর এক রকম দুনিয়া পয়দা হবে। সব মানুষের শরীর আবার তৈরী হবে।
হাশরের ময়দানে সব মানুষকে বিচারের জন্য হাজির হতে হবে। কেউ কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারবে না। তাহলে দেখা গেল, মানুষ তৈরি হবার পর আর মরে না। শুধু মানুষের শরীরটাই একবার মরে, আবার তৈরি হয়। এত সব কথা আমরা কেমন করে জানলাম? মানুষ নিজে নিজে এসব কথা জানতে পারে না। এসব বিষয় আল্লাহপান নবীকে শিখিয়ে দিয়েছেন।
নবীর এ সব শেখা কথা কুরআন ও হাদীসে আছে। সেখান থেকেই আমাদেরকে জানতে হবে। প্রশ্নের জবাব দাওঃ (১) আসল মানুষ কে? (২) মানুষ মারা গেলে রূহ কোথায় থাকে? (৩) কিয়ামতের দিন কি হবে? আমরা দেখি যে ঘরবাড়ি,কলকারখানা, বাড়ির সব জিনিসপত্র মানুষের হাতেই তৈয়ার হয়। আপনা-আপনি জিনিসই হয় না। তাহলে আমরা কেমন করে পয়দা হলাম?।
আপনাদেরকে কে তৈরি করল? নিশ্চয় কেউ তৈয়ার করেছে। তিনিই আল্লাহ। আমরা আম গাছের আটিঁ মাটিতে পুঁতে রাখি। কে তা থেকে গাছ তৈরি করে? ফুল গাছে কে ফুল ফুটায়? কে বৃষ্টি দেয়? বাতাস কে চালায়? এ সব কাজ যিনি করেন তিনিই আল্লাহ।