ঈমানের রুকন সমূহের মধ্যে একটি রুকন হলো কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। মুসলমান হিসেবে আমরা এ বিশ্বাস অবশ্যই রাখি যে, কিয়ামত হবে। কিন্তু “কিয়ামত হবে” শুধু এ বিশ্বাস থাকাই কিয়ামতের প্রতি ঈমান আনার একমাত্র দাবী নয়। বরং তার দাবী হলো, সেজন্য প্রস্তুতি নেয়া।
আর ঐ কিয়ামতের রয়েছে অনেক আলামত, যা কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে েএক এক করে প্রকাশ পাবে। অবশ্য ইতিহমধ্যে তার বেশ কিছু আলামত প্রকাশ হয়ে গেছে। যদিও অনেক মুসলমানই সে ব্যঅপারে ওয়াকেফ হাল নয়, আর তার জন্য প্রস্তুতি তো সুদূর পরাহত।
কিয়ামত হবে সুনিশ্চিত। কিন্তু কিয়ামত কখন হবে তা একমাত্র আল্লাহ ব্যাতিত আর কেউ জানে না। একদা জিবরীল আঃ সাহাবাগণের উপস্থিতিতে (মানুষরূপে) আসলো এবং রাসূল সাঃ কে কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করল, তখন তিনি বললেন, কিয়ামতের জ্ঞান উত্তরকৃত(মুহাম্মদ সাঃ) প্রশ্নকর্তা জিবরীল আঃ থেকে অধিক জানে না। তবে আমি তোমাকে কিয়ামতের আলামত বর্ণনা করছি। মহিলা তার মনিবকে জন্ম দিবে। বস্ত্রহীন, জুতাহীন ব্যক্তি জনগণের নেতা হবে। আর কাল উটের রাখালরা যখন উচ্চ দালান কোঠা নিয়ে পরস্পর গর্ব করবে (ইত্যাদি)। কিয়ামতের নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। (মুসলিম)
উল্লেখিত হাদীস থেকে একথা স্পষ্ট হয যে, কিয়ামত হওয়ার সঠিক জ্ঞান এক মাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। অবশ্য রাসূল সাঃ সাহাবাগণকে কিয়ামতের পূর্বে বিভিন্ন সময়ে সংঘঠিত ফেতনা, আগন্তু কিছু ঘটনা এবং কিয়ামতের একবোরে নিকটবর্তী সময়ে প্রকাশ পাবে এমন কিছু আলামত সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
হাদীসের ভান্ডারে কিয়ামত সম্পর্কে আমরা তিন প্রকারের হাদীস পেয়ে থাকি। প্রথমতঃ ঐ সমস্ত হাদীস যেখানে রাসূল সাঃ সময় অতিক্রমের সাথে সাথে উম্মতের মধ্যে সৃষ্ট ফেতনা ও পথভ্রষ্টতার নিদর্শন। যেমন তিনি বলেছেনঃ “ইলম (ইসলামী শিক্ষা) উঠে যাবে। বর্বরতা বিস্তার লাভ করবে। মদপান বৃদ্ধি পাবে। প্রকাশ্যে ব্যভিচার হবে। “ (মুসলিম)