ঈমানের পর সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন ইবাদত হচ্ছে নামায। নামায না পড়লে মুসলমান থাকা যায় না এবং পরকালে জান্নাতেও যাওয়া যাবে না। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মুমিন বান্দা এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামায পরিত্যাগ করা।
অর্থাৎ মুমিনগণ নামায আদায় করে, আর কাফের নামায আদায় করে না। তিনি আরো বলেছেন; কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দাকে নামাজের হিসেব দিতে হবে। যার নামাযের হিসেব সন্তোষজনক হবে সে সফলকাম হবে।
আর যার নামাযের হিসেব সন্তোষজনক হবে না সে ব্যর্থ ও ধ্বংস হবে। এছাড়া নামায মানুষকে যাবতীয় অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। সুতরাং নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য ফরয।
তবে নামায পড়া আমাদের জন্য বড় একটি নেয়ামত এই নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়া বড় আফসোস হয় সামান্য কাজের জন্য আমারা নামায চেড়ে দেই।
ছোটবেলা থেকেই নামায আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। ছোটবেলা থেকে যারা নামায আদায়ে অভ্যস্ত না হয়, বড় হয়ে নামাযে পাবন্দ হওয়া তাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। তাই আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতা-পিতা ও অভিভাবকের প্রতি হুকুম করেছেন।
অর্থাৎ তোমাদের সন্তানদেরকে সাত বছর বয়সে নামাযের হুকুম করো এবং দশ বছর বয়সে নামাজ আদায় না করলে তাদেরকে (মৃদু) প্রহার করো। বড়দের উপযোগী বেশ কয়েকটি নামায শিক্ষা বিই রয়েছে। কিন্তু শিশুদের নামায শিক্ষার উপযোগী কোনো বই আমাদের সামনে নেই। অথচ শিশুদের উপযোগী নামায শিক্ষা বই-এর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী।