নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঠিকই আমাদের মনের কথা জানতেন। এটা ঠিক, তিনি মনের দিকে চেয়ে কোনও বিধান দিতেন না। আল্লাহর ইশারাতেই সবকিছু করতেন। ইসলামের বড় বড় বিষয়গুলোতেই একটা ‘ব্যষ্টি’ ব্যষ্টি ভাব আছে। নামাজ পড়তে গেলে জামাত জরুরি। কুরবানি করতে গেলে, গোশত অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া ভাল! একা একা থাকা ও আত্মচিন্তায় অনুক্ষণ ডুবে থাকা ইসলামের মানশা নয়। ইসলামে বলে আমরা সবাই এক দেহের মতো বাঁচবো।
জুমু‘আ অর্থ? জমায়েত। গরিবের ঈদের দিন। ধরা যাক কোথাও বসে আছি। দলবেঁধে। এমন সময় কেউ একজন এলো। সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়লো এক অপার্থিব সুবাস! মনে কেমন লাগবে? যত কাঠখোট্টা আর নিরসই হোক, একটু হলেও মনে রঙ লাগবে! এ তো গেলো স্বাভাবিক অবস্থা! . গরম কাল। ভ্যাপসা তাপে সবাই জবজবে হয়ে আছে। ফ্যানের বাতাস কটু গন্ধ নাকে এনে আছড়ে ফেলছে। কিছু বলাও যাচ্ছে না, সওয়াও যাচ্ছে না। এমন মুহূর্তে নাকের কাছে একটা ফুল ধরলে কেমন লাগবে? . আমরা যখন মসজিদে, জুমা পড়তে যাই, একসাথে অনেক মানুষ জমায়েত হয়। নফল পড়ি। তিলাওয়াত করি। বয়ান শুনি। সাথে যদি নাকের আশেপাশে সুগন্ধি বাতাসের আনাগোনা থাকে? ইবাদতে বাড়তি মনোযোগ আসে না?
নবীজি বলেছেন: حُبِّبَ إِلَيَّ مِنَ الدُّنْيَا النِّسَاءُ وَالطِّيبُ، وَجُعِلَ قُرَّةُ عَيْنِي فِي الصَّلاَةِ দুনিয়াতে নারী ও সুগন্ধি আমার কাছে প্রিয় করে দেয়া হয়েছে। আর নামাযের মাঝে আমার প্রশান্তি সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে (নাসায়ী)।