তাওহীদের দ্বীন এবং ঐক্যের ধর্ম। এখানে শিরকের সুযোগ নেই এবং অনৈক্য ও বিভেদের অবকাশ নেই। ইসলামে ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ-এক আল্লাহর ইবাদত, এক আল্লাহর ভয়।
তাওহীদের সমাজকে ইসরাম আদেশ করে সীরাতে মুস্তাকীম ও সাবীলুল মুমিনীনের উপর একতাবদ্ধ থাকার, নিজেদের ঐক্য ও সংহতি এবং সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষা করার, ইজমা ও সাবীলুল মুমিনীনের বিরোধিতা পরিহার করার এবং এমন সব কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার, যা উম্মাহর একতা নষ্ট করে এবং সম্প্রীতি বিনষ্ট করে।
সাবীলুল মুমিনীন থেকে বিচ্যুত হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে কুফর এবং পরস্পর কলহ-বিবাদে লিপ্ত হওয়া হারাম ও কবিরা গুনাহ। কথাগুলো যদিও দিবালোকের ন্যয় ষ্পষ্ট এবং উম্মাহর সর্ববাদীসম্মত আকীদা তবুও পুনঃস্মরণের স্বার্থে কিছু আয়ত ও হাদীস উল্লেখ করা হচ্ছে।
আয়াত একঃ- “নিশ্চিত জেনো, এই তোমাদের উম্মাহ, এক উম্মাহ (তাওহীদের উম্মাহ) এবং আমি তোমাদের রব। সুতরাং আমার ইবাদত কর। কিন্তু তারা নিজেদের দ্বীনকে নিজেদের মাঝে টুকরা টুকরা করে ফেলেছে। (তবে) সকলেই আমার কাছে ফিরে আসবে।” – সূরাতুল আম্বিয়া-৯২-৯৩.
ভাষা, বর্ণ, গোত্র, ও অঞ্চল এসব ছিল আরব জাহিলিয়াতের একতা ও জাতীয়তার মানদন্ড। আধুনিক জাহিলিয়াতের এসবের সাথে আরো যোগ হয়েছে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন দর্শন ও মতবাদকেন্দ্রিক একতা ও জাতীয়তা। এভাবে অসংখ্য বিভেদ-বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়ে একতা শব্দটি একটি অসার শব্দে পরিণত হয়েছে।
প্রাচীন ও আধুনিক উভয় জাহিলিয়াতে মর্যাদা ও শরাফতের মাপকাঠি ধরা হয়েছে আপন আপন পছন্দের নিসবত ও সমন্ধকে। এর বিপরীতে ইসরঅমের দ্ব্যর্থহীন ঘোষনা-ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু তাওহীদ, উম্মাহর জাতীয়তা ইসলাম এবং মর্যাদা ও শরাফতের মাপকাঠি তাকওয়া।
এভাবে শ্রেষ্ঠত্বের সকল জাহেলী মাপকাঠিকে ইসরাম বাতির সাব্যস্ত করেছে এবং সব ধরনের আসাবিয়ত, অহংকার ও সাম্প্রদায়িকতাকে হারাম ঘোষণা করেছে। এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাঃ এর কিছু বানী রয়েছে। বানীগুলো পড়ার জন্য বইটি ডাউনলোড করুন।