সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত। সালাত ও সালাম আমাদের প্রিয় নবী এবং তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীগণের উপর। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বিচারে তার স্থার সকল সৃষ্টির উর্ধ্বে। সমাজবদ্ধ জীবন যাপনে অভ্যস্ত মানুষের যেমন কতিপয় অধিকার প্রাপ্য আছে, তেমনি অপরের প্রতি তাঁর কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। একের জন্য যা দায়িত্ব ও কর্তব্য অন্যের জন্য তা অধিকাররূপে স্বীকৃত। আলোচ্য গ্রন্থে এ দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকার সম্পর্কেই আলোকপাত করা হয়েছে।আদর্শ ও জীবন বিধান যতই উন্নত, ন্যায়সঙ্গত ও বাস্তবানুগ হোক, সমাজে তা কার্য্কর করার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত তারা যদি নিঃস্বার্থবান, উদার, যোগ্য ও মহৎ চরিত্রের অধিকারী না হয়ে বরং স্বার্থলোভী, চরিত্রহীন, অযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট ও স্বৈরাচারী হয় তবে জনগণ অবশ্যই অধিকার বঞ্চিত হবে। অতএব এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের বিশেষতঃ মুসলিম শাসকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক।কুরআন-সুন্নাহর বিধান চিরন্তন হওয়ার তাৎপর্য এই যে, ইসলামী রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থা উভয়ের উপর বিচার বিভাগের প্রাধান্য বিদ্যমান। শাসন বিভাগ কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না এবং আইন বিভাগ (সংসদ) কুরআন-সুন্নাহর সাথে সামঞ্জস্যহীন কোন আইন প্রণয়ন করতে পারে না। বিচার বিভাগ সাধারণ নাগরিকের অধিকার সমূহের হেফাজতকারী। সে নাগরিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক আইনকে অকেজো ঘোষণা করে তাকে কার্যকর করতে বাধা দিতে পারে এবং শাসন বিভাগের জারীকৃত বিধান অকার্যকর গণ্য করে নাগরিকদের মজবুত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে।