ইসলাম মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সর্বাঙ্গ-সুন্দর জীবন-ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় যেমন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আদব আছে, তেমনি আছে সাংসারিক আদব, দাম্পত্যের আদব, সামাজিক ও বৈয়াক্তিক আদব। আছে দৈনন্দীন জীবনের প্রত্যেক পদক্ষেপের সরল ও সুন্দর আদব।
ইসলামী জীবন ধারা কত যে সৌন্দর্য ও সভ্যতাময় তা ইসলামের বৈয়াক্তিক জীবনের পরিচ্ছন্নতার কথাগুলো নিয়ে চিন্তা গবেষণা করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইসলামী জীবন ধারায় প্রতিপালিত কোন মুসলিম বেআদব ও অসভ্য হতে পারে না।
পারে যেহেতু তার পথপ্রদর্শক ছিলেন সুমহান চরিত্রের সুউচ্চ শিখরে এবং তার সৃষ্টির প্রকৃতি হল খোদ সৃষ্টিকর্তার প্রকৃতি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অতি প্রয়োজনীয় বস্তু হল খাদ্য ও পানীয়। জীবন ধারণের জন্য এই খাদ্য হালার হতে হবে মুসলিমের। প্রিয় নবী রাসুল সাঃ বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি পবিত্র মালই কবুল করে থাকেন।
আল্লাহ মুমিনদেরকে সেই আদেশ করেছে, যে আদেশ করেছেন আম্বিয়াগণকে। সুতরাং তিনি আম্বিয়াগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, অর্থাৎ, হে রাসুলগন! তোমরা পবিত্র বস্তুসমূহ থেকে আহার কর এবং সৎকাজ কর। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত। [সুরা মুমিনুন ৫১ আয়াত] ।
আর তিনি মুমিনদের উদ্দেশ্যে বলেন, অর্থাৎ হে মুমিনগণ! আমি তোমাদেরকে যে সব রুজী দান করেছি তা থেকে পবিত্র বস্তু আহার কর–। [সুরা বাক্বারাহ ১৭২ আয়াত]। অতঃপর তিনি সেই ব্যক্তি কথা উল্লেখ করলেন, যে লম্বা সফর করে আলুথালু ধূলিমলিন বেশে নিজ হাত দুটিকে আকাশের দিকে লম্বা করে তুলে দুআ করে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রভু! কিন্তু তার আহার্য হারাম।