মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়েই তাকে বাস করতে হয়। সমাজে একে অপরের সহযোগী হয়ে জীবনের পথ চলতে হয়। তাই সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানবতার দ্বীন ইসলাম এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিধি-বিধান বর্ণনা করেছে।
ইসলাম যেমনিভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নফল ছিয়াম, যিকির, তাসবীহ-তাহলীলের মত ইবাদতে উৎসাহ দিয়েছে, তেমনি সমাজের মানুষের কল্যাণে কাজ করাকেও ইবাদত হিসাবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু এ সকল সামাজিক কার্যক্রমে অনেক দ্বীনদার মানুষকেও তৎপর দেখা যায় না। তাই এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে কিছুটা আলোকপাত করা হ’ল-
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে বলেন,
لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, তোমরা পূর্ব ও পশ্চিমে মুখ ফিরাবে বরং সৎ কাজ হ’ল, যে ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, পরকালের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত কিতাব ও নবী-রাসূলগণের উপর। আর সম্পদ ব্যয় করবে তারই মহববতে আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম মিসকীন, মুসাফির, ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্য। আর যারা ছালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে এবং যারা কৃতপ্রতিজ্ঞা পালনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণকারী; তারাই সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই আল্লাহভীরু’ (বাক্বারাহ ১৭৭)।