আলেম সমাজের কাছে যে ইলম রয়েছে তা গোপন করার বা প্রকাশ না করার কারণে আজ সমাজে আগুন জ্বলছে। আর সে আগুনে আমরা সবাই জ্বলে পুড়ে মরছি তা প্রকাশ করাই লেখকের উদ্দেশ্য। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “যারা ইলম গোপন করে তারা আগুন ছাড়া কিছুই ভক্ষণ করে না”।
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡتُمُونَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡڪِتَـٰبِ وَيَشۡتَرُونَ بِهِۦ ثَمَنً۬ا قَلِيلاًۙ أُوْلَـٰٓٮِٕكَ مَا يَأۡكُلُونَ فِى بُطُونِهِمۡ إِلَّا ٱلنَّارَ وَلَا يُڪَلِّمُهُمُ ٱللَّهُ يَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ وَلَا يُزَڪِّيهِمۡ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ (١٧٤) أُوْلَـٰٓٮِٕكَ ٱلَّذِينَ ٱشۡتَرَوُاْ ٱلضَّلَـٰلَةَ بِٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡعَذَابَ بِٱلۡمَغۡفِرَةِۚ فَمَآ أَصۡبَرَهُمۡ عَلَى ٱلنَّارِ (١٧٥)
অর্থঃ নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী।
ব্যাখ্যাঃ এখানে ইয়াহুদী আলেমদের কথা বলা হয়েছে। তাদের চরিত্র এমন ছিল যে, তারা তাওরাত কিতাব থেকে যে জ্ঞান লাভ করেছিল তা দুনিয়াবী সমান্য স্বার্থের কারণে গোপন করতো এবং ফতোয়া দেয়ার ব্যাপারে মানুষের খুশি মুতাবিক অর্থাৎ যে যে ধরণের ফতোয়া পেলে খুশি হতো তাকে (কিছু অর্থ নিয়ে) সেই ফতোয়া দিয়ে খুশি করতো।
তারা তাওরাত কিতাবের মূল আয়াত পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিতো। এদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তারা দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের জন্য বিকৃত করে দিতো। এদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তারা দুনিয়অর সামান্য স্বার্থের জন্য আল্লাহর কালামকে পরিবর্তন করে তার মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থ উপার্জন করে-যা দিয়ে পেটে শুধু আগুনেই ভর্তি করা হয়।
এই জামানাতেও আমরা দেখতে পাই এম মুফতির অভাব নেই – যিনি যে ফতোয়া চান তার সম্পর্কে জেনে নেন যে, তাকে কোন ধরণের ফতোয়া দিলে সে খুশি হবে। ব্যাস, জেনে নিয়ে সেই ধরণের ফতোয়া দিয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে নেন।