বিশ্বব্যাপী আমরা আজ ধ্বংসের এক লীলাখেলা পর্যবেক্ষণ করছি। ধ্বংস ও তার প্রকৃতি জানা এবং এর সাথ আমাদের আচরণ কি হবে তা ঠিক করা আজ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছ্ ধর্মীয় নেতারা এর উত্তর দিতে ব্যস্ত। যারা সত্যকে আসলেই খুজেঁ বেড়ায়, তারা যে ধর্ম এর যথাযথ উত্তর দিতে পারবে সেই ধর্মকে সহজেই মেনে নিবে।
বিশ্বব্যাপী এই ধ্বংসের প্রাথমিক কারণসমূহের দায়সারা উত্তর প্রদানের মাধ্যমে মুসলিম আলেমরা ইসলামকে এক্ষেত্রে খুব অসুবিধাজনক স্থানে ফেলে রেখেছে। এই আলেমরা বলে থাকে, ইয়াজুজ ও মাজুজ একটা ধ্বংসাত্মক শক্তি যাদের ব্যাপারে ভবিষ্যদবাণী করা হয়েছে, আর তারা তো এখনও প্রচীরে বন্দি রয়েছে।
এই বিশ্বাস মুসলিমদেরকে একটা গাধায় পরিণত করেছে, খুটিঁর ভেতরে উইপোকা বাসা বাধাঁর কারণে ঘর ধ্বংস পড়তে যাচ্ছে অথচ প্রতিরাতে সে কিনা বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানায় কারণ পোকামাকড় পরিদর্শক তো তার দেয়ালে উইপোকার কোন আক্রমণ খুজে পায় নি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হাদীস কিংবা তাফসীর সংরক্ষনের প্রতিশ্রুতি তো তিনি দেননি।
এবং ইয়াজুজ ও মাজুজ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণার মূল উৎস দুটি। তাফসীরের ভূল ভ্রান্তি এবং ত্রুটিবিচ্যুতিকে মনে নেয়। ২ মিথ্যা বা জাল হাদীস গ্রন্থ করা অথবা যে হাদীস কুরআনের বিপরীত তার ভূল ব্যাখা করা। হাদীস হবে কুরআন ভিত্তিক, এই মূলনীতির মাধ্যমে উপরে উল্লিখিত দ্বিতীয় সমস্যার সমাধান করা যায়।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ কুরআন ও হাদীসের একজন অতুলনীয় আলিম ছিলেন তিনি সম্পূর্ণ কুরআন ও অগণিত হাদীস মুখস্থ করেছিলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে যে কোন বিষয়ে কুরআনের সমস্ত আয়াত ও হাদীস নিয়ে আসতে পারতেন।