কিছু মানুষ আছে যারা আর দশজনের মতো নয়। তারা শুধু আরামে আয়েশে, আমোদ- ফুর্তি করে জীবন কাটিয়ে দিতে চায় না। তারা নতুন কিছু করতে চায়, অজানাকে জানতে চায়, পৃথিবীটাকে দেখতে চায়। তারা অরণ্য, মরুভূমি, পাহাড়-পর্বতে অভিমান করে, সাগর পাড়ি দেয়, শুন্যে মহাশূন্যে উড়তে চায়।
অজানাকে জানা, অসম্ভবকে সম্ভব করায় তাদের অদম্য আগ্রহ। এতে তাদের অনেক বিপদ-আপদেপড়তে হয়। অনেকে মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু কোনোকিছুতেই তারা দমে না। তারা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়, আমাদের জ্ঞান প্রসারিত করে, সভ্যতার আলোকবর্তিকা বহন করে।
এমনই একজন মানুষ ছিলেন আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে বতুতা। তাকেঁ আমরা সাধারণভাবে ইবনে বতুতা বলেই জানি। জন্ম তার মরক্কো দেশে তানজিয়ার শহরে, ১৩০৪ সনে। তার বাবা ছিলেন একজন কাজি (বিচারক) মরক্কোর একটি ছোট শহরে বতুতাও আইন ও ধর্মশাস্ত্রে শিক্ষালাভ করে কাজি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেণ।
কিন্তু প্রথম থেকেই বতুতার আকর্ষন ছিল ভ্রমনে। তিনি দুর দেশ, অজানা জগতের স্বপ্ন দেখতেন। তার তার বয়স যখন মাত্র একুশ, তিনি বাড়ি ছেড়ে অজানার পথে পা বাড়ালেন, যেমন একটি পাখি তার বাসা ছেড়ে আকাশে পাখা মেলে। সারা জীবন তিনি ঘরে বেড়ালেন দেশ দেশান্তরে।