জিহারদের সামর্থ্য না থাকলে ইদাদ (জিহাদের প্রস্তুতি ) ফরয। ইদাদ দুই প্রকার :- এক- ইদাদে ঈমানী তথা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদ বুঝা। জিহাদ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল জেনে নেওয়া এই ফরযের অন্তর্ভুক্ত। যেমন, জিহাদ কখন ফরযে কিফায়া থাকে, কখন ফরযে আইন হয়, কার কার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে, কাকে হত্যা করা যাবে, কাকে হত্যা করা যাবে না।- ইত্যাদী।
দুই- ইদাদে মা-দ্দী/ ইদাদে আসকার তথা সামরিক প্রস্তুতি। এই উভয় প্রকার ইদাদ ফরয এবং তা সকল মুসলমানের উপর ফরয। সামরিক প্রস্তুতির কথা তো বলাই বাহুল্য। কারন, সামরিক প্রস্তুতি ব্যতীত শত্রুর মোকাবেলা সম্ভব নয়।
তদ্রুপ ইদাদেও জরুরী। কারণ সহীহ ইলম না থাকলে জিহাদই শরীয়ত সম্মত পন্থায় চালানো সম্ভব নয়। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, জিহাদে যে যেই কাজ করবে ঐ কাজের জন্য আবশ্যক পরিমাণ ইলম তার জন্য ফরয। বাকি অন্যান্য বিষয়ের ইলম ফরয নয়। আর এ পরিমান ইলম হাসিলের জন্য যে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না তা আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। অল্প কিছু দিনে এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে তা শিখে নেয়া যাবে।
অতএব ইরম অর্জনের বাহানা ধরে ফরযে আইন জিহাদ তরক করার কোন সুযোগ নেই। তবে হ্যাঁ জিহাদকে শরয়ী ত্বরীকায় চালানোর জন্য যে বিস্তারিত ইলমের প্রয়োজন তার জন্য একদল বিশেষজ্ঞ ওলামা আবশ্যক্ আমীরের পক্ষ থেকে যাদেরকে এ কাজের দায়িত্ব দেয়া হবে তারা সর্বক্ষণ ইলমী গবেষণা ও তালিম তাআল্লুমের কাজে ব্যস্ত থাকবে।