বুখারীতে বর্ণিত আছে আবু হুরায়রা রাযিঃ হতে বর্ণিত নবী সাঃ বলেছেন, “কেবলমাত্র তোমাদের আমল তোমাদের কারোকে রক্ষা করবেনা”। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল, এমনকি আপনাকেও না?” তিনি উত্তর করলেন, “আমাকেও না, যদি না তিঁনি (আল্লাহ) আমাকে তাঁর দয়া দ্বারা আচ্ছাদিত করতেন। তোমরা দৃঢ়, অবিচল ও মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। এবং তোমরা তাঁর (আল্লাহ)ইবাদত করো দিনের শুরুতে, দিনের শেষে, এবং রাতের শেষাংশে। সংযম, সংযম! এর মাধ্যমেই তোমরা তোমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।” (বুখারী-৬৪৬৩)
তিনি এই হাদিসটি অন্যত্র বর্ণনা করেছেন অন্যভাবে, “ধর্ম সহজ, যে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে সে ছাড়া আর কারো জন্য এটা কঠিন নয়। তাই দৃঢ়, অবিচল ও পরিমিত বোধ সম্পন্ন হও। তাদরে জন্য রয়েছে সুখবর। সকাল, সন্ধ্যা রাতের শেষাংশে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রাথর্ণা করো। (ইবাদাহ-৩৯)
আরও উল্লেখ করেন, আয়শা রাঃ হতে, যে নবী সাঃ বলেছেন, “দৃঢ়, অবিচল, ও মধ্যপন্থা অবলম্বনকারীদের জন্য সুখবর রয়েছে এবং নিশ্চয় শুধুমাত্র একজনের আমল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না।” তারা জিজ্ঞাসা করলো, “হে আল্লাহর রাসুল, আপনাকেও না?” তিনি উত্তর দিলেন, “আমাকেও না। যদি না আল্লাহ আমাকে তাঁর ক্ষমা ও দয়া দ্বারা আবৃত না করতেন।” (ইবাদাহ-৬৪৬৭)
তার (আয়শা রাঃ) কাছ থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে উল্লেখ করেন যে, নবী সাঃ বলেন, “দৃঢ়, অবিচল ও মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী হও। জেনে রাখো, শুধুমাত্র তোমরার আমল দিয়ে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আল্লাহর কাছে ঐ সকল ইবাদত সবচেয়ে প্রিয় যা একটানা ও বিরতিহীনভাবে করা হয়, যদিওবা তা সংখ্যায় কম হয়। (ইবাদাহ-৬৪৬৪)
আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’য়ালার পথে ভ্রমণের মূল বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্কিত অসাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ সব বিধি-বিধানের খুটিনাটি বর্ণনা লুকিয়ে রয়েছে এই হাদীসগুলিতে। উক্ত বইটি ডাউনলোড করার পর এটি অধ্যয়ন করে আল্লাহর পথে যেন আমরা চলতে পারি, সেই কামনা করি সর্বদা।