আল্লাহর উপর ভরসা

0/5 No votes

Report this app

Description

আল্লাহর উপর ভরসা মানব জীবনে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্তর। এর প্রভাব-প্রতিপত্তিও সুদূরপ্রসারী। ঈমানের যেসব বিষয় ফরয বা আবশ্যকীয়, এটি তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ। দয়াময় আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে যে সকল আমল ও ইবাদত রয়েছে, তন্মধ্যে এটি উত্তম । আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকৃতিদানে তাওয়াক্কলের মত উঁচু স্তর দ্বিতীয়টি মেলে না । কেননা যাবতীয় কাজ আল্লাহর উপর ভরসা ও তাঁর সাহায্য ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়।

তাওয়াক্কুলের হাকীকত বা মূল কথা হল অন্তর থেকে আল্লাহর উপর ভরসা করা, সেই সাথে পার্থিব নানা উপায়-উপকরন ব্যবহান করা এবং পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহই রিযিকদাতা, তিনিই একমাত্র স্রষ্টা , জীবন ও মৃত্যু দাতা। তিনি ছাড়া যেমস কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই, তেমনি তিনি ছাড়া কোন প্রতিপালক ও নেই।

তাওয়াক্কুলে শব্দটি ইসতি আনাহ থেকে ব্যবপক অর্থবোধক। কেননা ইসতি আনাহ (সাহায্য প্রার্থনা) হল যে কোন কাজে আল্লাহ তাআলা যাতে বান্দাকে সাহায্য করেন সেজন্য তাঁর দরবারে সাহায্যের আবেদন-নিবেদন করা।

পক্ষান্তরে তাওয়াক্কুলের মধ্যে যেমন আমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহ এ সাহায্য প্রার্থনা শামিল আছে, তদ্রপ সব রকম কল্যাণ লাভ ও অকল্যাণ প্রতিহত করতে আল্লাহ এর উপর ভরসা ও শামিল আছে। অন্যান্য বিষয় ও তাওয়াক্কুলের আওতাভুক্ত।

ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যে কাজ করতে আল্লাহ হুকুম করেছেন তাতে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া তাওয়াক্কুল । আবার যে কাজ বান্দার সামর্থ্যের বাইরে আল্লাহ যাতে তা যুগিয়ে দেন সে নিবেদনও তাওয়াক্কুল । সুতরাং ইসতি আনাহ বা সাহায্য প্রার্থনা বান্দার নান আমলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । কিন্তু তাওয়াক্কুল তার থেকে ও কিছু বেশী্ মানুষ যাতে কল্যাণ লাভ করতে পারে এবং ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারে সেজন্যও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে হয়।

সুতরাং ইবাদত ও তাঁর করতে হবে, সাহয্যও তাঁর কাছে চাইতে হবে এবং তাওয়াক্কুল বা ভরসা ও তাঁর উপর করতে হবে । তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই।


							

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments