আল্লাহকে যদি পেতে চাও

0/5 No votes

Report this app

Description

হযরত মুসা (আঃ)একবার বলেছিলেন, হে আল্লাহ! তুমি আমার উম্মতকে মেঘের ছায়া দিয়েছো, আসমান থেকে মাননা-সালওয়া পাঠিয়েছো। আমার উম্মতের চাইতে উত্তম কোন উম্মতও কি রয়েছে? আল্লাহ তাআলা বলেছিলেন-মুসা! তুমি জান না, আমি সমগ্র মাখলুকের তুলনায় যতটা মর্যাদাশীল, আমার হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতও সমগ্র উম্মতের তূলনায় ঠিক ততটাই মর্যাদাশীল।

জবাব শুনে তো হযরত মুসা আঃ নির্বাক। তিনি আরয করলেন, হে আল্লাহ! তাহলে তুমি আমাকে সেই উম্মত দান কর। ইরশাদ করলেন না, সেই উম্মত তোমাকে দেয়া যায় না। এহলো উম্মতের মুহাম্মদীর আসন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই আসনের জন্যে নির্বাচন করেছেন।
অতঃপর তিনি আমাদেরকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। আমাদের সম্মানে আল কুরআন ইরশাদ হয়েছে- যেন তোমরা মানব জাতির জন্যে সাক্ষা হতে পারো (বাকারা : ১৪৩) এটা হলো আমাদের কাজ। এই আয়াত আমাদের কল্পনারয় চোখে সমগ্র পৃথিবীকে যেন একটি আদলতরূপে উপস্থিত করে। সমগ্র পৃথিবী একটি আদালত কেন্দ্র। আদালত প্রাঙ্গন লোকে লোকারন্য। ছয় মহাদেশের সকল মানব সেখানে উপস্থিত।

দুপাশে দলিল প্রশাণসহ উকিল দন্ডায়মান। এদিকে আল্লাহ তাআলার উকিলগণ দাড়িয়ে আছেন। সোয়া লাখ পয়গাম্বর। তাদেরঁ পেছনে দাড়িয়ে আছে এই উম্মত। বিপরীতে দাড়িয়ে আছে ইবলিস। দাড়িঁয়ে আছে তার উকিল। সেই উকিলদের মধ্যে আছে মানুষ এবং জিন। আদালত প্রাঙ্গণ উষ্ণ তপ্ত। মোকদ্দমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কী সেই মোকদ্দমা?

আল্লাহ তাআলার দাবি-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু । আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই । নবীগণ দলিল প্রমাণ দিয়ে এই দাবি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। শয়তানের দাবি হলো এসব কিছুই নয়। আর কালই আমাদেরকে ধ্বংস করে। [জািছিয়া: ২৪] আমরা প্রকৃতিগতভাবেই মারা যাই। আল্লাহ আবার কোথায় আমাদেরকে মৃত্যু দেন? এবং আমরা পুনরুথিতও হবো না। [আনআম: ২৯] ইবলিশ এসে এই দাবির পক্ষে প্রাণ খাড়া করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments