মৃত্যু এক মহাসত্য- এ থেকে কেউ পালাতে পারবে না। মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ- প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাধ আস্বাদন করতে হবে। তারপর তোমরা সকলে আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। [সুরা আনকাবুত- ৫৭]। আমাদের সকলকেই এই দুনিয়া ছেড়ে যেতে হবে আর এটাই চিরন্ত সত্যিই কেউই থাকবে না এই দুনিয়াতে চিরকাল।
এবং কি আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, হে নবী! এদেরকে বলুন, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো, একদিন সে মৃত্যুর সামনা -সামনি তোমাদের হতেই হবে। [সুরা জুমুয়া- ৮] তিনি আরও বলেন তুমি যেখানেই থাকো তা যদি দূর্ভেদ্য দুর্গও হয় তবুও মৃত্যু তোমাকে স্পর্শ করবেই [সুরা নিসা- ৭৮]।
মৃত্যুর সময় এলে কেউ কাউকে বাচাঁতে পারবে না। উল্লেখিত আয়াত মহান আল্লাহ তাআলা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, এখন তোমরা যদি কারো অধীন না হয়ে থাকো এবং এই ধারণায় যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে মুমূর্ষ ব্যক্তির প্রাণ যখন।
তার কণ্ঠনালী পর্যন্ত পৌঁছে যায় -আর তোমরা নিজেদের চোখে তা দেখতে থাকো যে সে মৃত্যুবরণ করছে, তখন তার নির্গমনকারী প্রাণকে ফেরৎ নিয়ে আসোনা কোনো? বরং তখন তোমাদের তুলনায় আমিই তার নিকটবর্তী হয়ে থাকি, কিন্তু তোমরা আমাকে দেখতে পাওনা। [সুরা ওয়াকিয়া-৮৩-৮৭ ]। দুনিয়া পূজারী লোকেরা মৃত্যুর সময় আফসোস করবে ।
পৃথিবীতে শুধুমাত্র ভোগ-বিলাসের উপকরণ যোগাড়ের জন্য যারা বৈধ-অবৈধ পথে অর্থ সম্পদ উপার্জনের লক্ষ্যে সারাক্ষণ ব্যস্ত থেকেছে, মৃত্যুর সময় তারা আক্ষেপ করে বলবে তাদের যখন মৃত্যু আসে তখন তারা বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরো কিছু সময় দাও, যাতে আমি কিছু সৎ কাজ করতে পারি যা আমি পূর্বে করিনি। সুরা মুমিনুন-৯৯-১০০] ।
দুনিয়া পূজারী লোকদের মৃত্যুকালীন অবস্থঅ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন- যে রিযক আমি তোমাদের দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করো এর পূর্বে যে তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় এসে যাবে আর বলবে, হে আমার রব! তুমি আমাকে আরো কিছুটা সময় দিলেনা কেনো? তাহলে আমি দান-সাদাকাহ করতাম এবং নেককার চরিত্রবান লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম। [সুরা মুনাফিকুন- ১০]।