আল্লাহ তাআলা আমাদের রব ও ইলাহ। একমাত্র তিনিই ইবাদত আরাধনার উপযোগী। সে হিসেবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন আমাদের জন্য ওয়াজিব, যাতে আমরা তারঁ প্রতি একাগ্রচিত্তে ধাবিত হবে পারি, যথার্থরূপে ইবাদত-বন্দেগি পালনে সক্ষম হই।
আবার ও যদি বলা হয় আল্লাহ কোথায় আছেন? এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর হল তিনি আরশের উপরে আছেন। আরশের উপরে থাকা আল্লাহ তাআলঅর একটি অন্যন্য সিফাত, আল কোরআন ও সহিহ হাদীসে এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে, যেমন রয়েছে আল্লাহ তাআলার শ্রবণ করা, দেখা, কথা বলা।
যখন ইমাম মালেক রহ, কে (আর-রহমান, যিনি আরশের উপরে উঠেছেন ) এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলন: তথা আরশের উপরে ওঠার বিষয়টি জানা, কিন্তু তার ধরণ অজানা, আর এ বিষয়ের উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। হে মুসলিম ভাই, ইমাম মালেক রহ. এর বক্তব্যের প্রতি খেয়াল করুন।
কারণ, তিনি আল্লাহ যে উপরে আছেন, তার উপর ঈমান আনাকে প্রতিটি মুসলিমের জন্য বলেছেন। কিন্তু কিভাবে আছেন, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এই জন্যই আল্লাহ তাআলার যেসমস্ত সিফাত কোরআন ও সহিহ হাদীসে আছে, তার কোনটাকে অস্বীকার করলে।
যেমন আল্লাহ যে আরশের উপরে আছেন সে ঐ আয়াত বা হাদীসকে অস্বীকারকারী হল। কারণ, এ সিফাত হচ্ছে পূর্ণতার, সম্মানের ও সর্বশীর্ষতার। তা কোন ক্রমেই আল্লাহর ব্যাপারে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু পরবর্তী জামানার কিছু ওলামা যারা দর্শনের {philosophy} দ্বারা প্রভাবিত, তারা কিছু কিছু আয়াত ও সিফাতকে তাবিল বা দুর ব্যাখ্যা দিয়ে ভিন্ন অর্থে নিয়ে যান।