ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মূল উৎস হলো আল কুরআনুল কারীম। কুরআন হলে মহান প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানুহু ওয়াতা’য়ালার পক্ষ থেকে কেয়ামত অবধি মানুষের জন্যে নির্ভূল হেদায়েত গ্রন্থ (সূত্র – সুরা আল বাকারা/২:১৮৫, সূরা আয যুমার/৩৯:৪১, সূরা আলে ইমরান: ৩:১৩৮ সুরা ইব্রাহিম ১৪:৩১)। মানুষের জীবন যাপনের পাথেয় হিসেবে আল কুরআনের কোন বিকল্প নেই তাই প্রত্যেক ঈমানদার নরী-পুরুষের জন্য কুরআন বুঝা ও মেনে চলা অপরিহার্য বা ফরজ।
এই ব্যাপারে আল্লাহর বক্তব্য ‘‘ এটি (আল কুরআন) এমন এক গ্রন্থা যা আমি তোমাদের উপর পরিপূরর্ণ সৌভাগ্যরূপে নাযিল করেছি। যাতে তোমরা এর আয়তসমূহের উপর চিন্তা ভাবনা করতে পারো এবং বুদ্ধিমান লোকেরা অনুধাবন করতে পারো, (সূরা ছোয়াদ/৩৮:২৯)। “ এই কিতাব যদি আমরা বুঝতেই না পারি, হাতলে কিভাবে এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবো, অনুধাবন করবো?
আর এই বইয়ের শব্দসমূহ আয়ত্ত করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী, পেশা, ও রয়সের মানুষ এ থেকে উপকৃত হতে পারেন। আলাদা কোন সময়ও নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই। বইটি সবসময় পকেটে বা ব্যাগে রাখুন, মাঝে মাঝে খুলে দেখুন। পকেটে রা কঠিন নয়; খুলে দেখাই কঠিন।
আমরা প্রতি ওয়াক্ত সালাতের পর ৫০ ভাগ শব্দের কুরআনের সংক্ষিপ্ত অভিধান বই থেকে একটি করে শব্দ মুখস্থ করলে প্রতিদিনি পাঁচটি করে কুরআনের শব্দ মুখস্থ হবে, প্রতিটি হরফ বা বর্ণ পড়ার ১০টি করে নেকী আমাদের আমলের বিবরণীতে অবশ্যই লেখা হবে। ১২৫ টি শব্দ আয়ত্ত করতে সর্বমোট সময় লাগবে ২৫ দিন। সেই সাথে তেলাওয়াতের সওয়াবতো আছেই। তাছাড়া যানবাহন, অফিস বা বাসায় অবসর সময় আমরা বইট এক নজর দেখে নিতে পারি।
বইটিতে টেবিল আকারে ১২৫ টি শব্দা উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি পৃষ্ঠার প্রথম কলামে শব্দটি কুরআনে মোট কতবার এসছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় কলামে সংশ্লিষ্ট শব্দ ও ইংরেজী প্রতিশব্দসহ অর্থ করা হয়েছে। এরপরের কলামে রয়েছে কুরআন থেকে একটি করে সহজ উদাহরণমূলক আয়াত