কুরআনের বাচনভঙ্গির চিত্র অংকন কুরআন অনুধাবনের একটা উত্তম পন্থা। মানসিক চিন্তা, মানস্তাত্তিক অবস্থা, অনুভূত ঘটনা, চোখের সামনের দৃশ্য মানুষের দৃষ্টান্ত এবং মানব প্রকৃতির চরিত্র চিত্রণে এ পন্থা উৎকৃষ্ট প্রতিফলন ঘটাতে পারে। অতঃপর এ চিত্র অংকন মানসপট মুদ্রিত কাল্পনিক চিত্রকে আরো উন্নত রূপ দিয়ে বিমূর্ত- বিম্বিত জীবন দান করে অথবা নতুন গতি সঞ্চয় করে।
তখন এ মানসিক ধারণা একটা রূপ বা গতির আকার ধারণ করে। তখন মনস্তাত্তিক অবস্থা একটা বিশাল পর্দা বা দৃশ্যের রূপ নেয়। আল কুরআনের বড় বড় সূরা গুলোতে কিয়ামতের দৃশ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে; যদিও এর বেশির ভাগ রয়েছে মক্কী সুরাগুলোতে।
কখনো কখনো একই সূরায় একাধিক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। কোন দীনী প্রয়োজনে সংক্ষেপে বা সবিস্তারে আলোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে শিল্প সৌনন্দযের মূলনীতিও অনুসৃত হয়েছে। এ সম্পর্কে পরে আলোচনা করা হবে। এখানে এ গ্রন্থে আমরা ১৫০ টি দৃশ্য উপস্থাপন করেছি। কুরআন মজীদের ১১৪ সুরার মধ্যে ৮০ টি সূরায় দৃশ্য ছড়িয়ে রয়েছে।
সত্যিই এটা বিস্ময়ের ব্যাপার যে, এসব দৃশ্যের সংখ্যা অনেক হলেও সেসবের ভিত্তিমূল কিন্তু এক । বারবার আলোচনা করা হলেও তার ফলে কোনরকম পুনরুক্তি বা পুরনাবৃত্তির উদ্ভব হয়নি। মৌলিক আর খুটিঁনাটির বিচারে প্রতিটি দৃশ্যই পূর্ববতী দৃশ্য থেকে স্বতন্ত্র-একবারেই ভিন্ন ধরনের । লক্ষ-কোটি মানুষের দৃষ্টিতে এটাও এক রকম বিষ্ময়কর ব্যাপার ।