হেদায়েতের এ মহান সাধনা সকল নবী রাসুল করে গেছেন। নবী রাসুলগণ চলে গেছেন। কিন্তু কখনও একাজ চালু আছে। তাদের অনুসারীগণ এ দায়িত্ব পান করছেন। সর্বশেষ কিতাব আল্লাহর কালাম আল কুরআনসহ এসেছিলেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হযতর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তার রেখে যাওয়া কিতাব ও কাজ আমাদের সামনে আছে। মানুষকে হেদায়েতের জন্য কুরআন মাজিদে শুধু উপদেশেই নই, বরং অসংখ্য উদাহরণ পেশ করা হয়েছে। এ কথাটি সূরা যুমার এর ২৭ নম্বরে বলা হয়েছে।
আমরা এই কুরআনে মানুষের হেদায়েতের জন্য তাদের সামনে নানা রকমের উদাহারণই সমূহ পেশ করেছি যেন এদের হুশঁ হয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বুঝানো জন্য সকল উপায়ই প্রয়োগ করেছেন। নবী রাসুলগন আল্লাহর পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব পালন করেছেন। নবী রাসুলগনের প্রতিনিধি হিসেবে সারা বিশ্বের উলামায়ে কেরাম এ প্রচেষ্টা অব্যাহত ।
দুনিয়ার জীবন মূহুর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে এবং আখেরাতের জীবনে প্রবেশ করতে হবে। এ সময়টুকু চোখের পলক এর ব্যবধা এর সাথে উদাহারণই দিয়ে কুরআন মাজিদে দু যায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা নহল ৭৭ নম্বর আয়াতের বলা হয়েছে- আর যমনী আসমানের গোপন কার্যক্রম তো আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামত কায়েম হবার ব্যাপারে কিছুমাত্র বিলম্ব হবে না।
শুধু এতটুকু সময়মাত্র লাগবে, যে সময়েল মধ্যে চোখের পলক পড়ে, বরং তার ছেয়েও কম। আসল ব্যাপার হল আল্লাহ সব কিছু করতে পারেন। আর এক জায়গায় সুরা ক্বামার ৫০-৫১ নম্বর আয়াতে উদাহরণ প্রয়োগ করে বলা হয়েছে- আর আমাদের সিদ্ধান্ত একটি একক ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং তা চোখের নিমেষের মধ্যে কার্যকর হয়ে যায়। তোমাদের ন্যায় বহু কেউকেটাকে আমরা ইতিপূর্বে ধ্বংস করেছি।