বইটি ইংরেজী কিংবা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদ করা হলে তা পৃথিবী জোড়া সুনাম অর্জন করবে, এ হলো অনেক বিজ্ঞ জনেরই অভিমত।
সময়ের প্রবাহে যে বিজ্ঞান হারিয়ে যায় কিংবা যাবার ভয় থাকে, তেমনি একটি মাপনদন্ড দিয়ে কোরআনের সঠিকতার মান পরখ করতে চেষ্টা করি আমরা। ঈমানের প্রশ্নে আমরা মূলতঃ কতটা নিচের পর্যায়ে দাড়িয়ে রয়েছি। এ গুরুতর জিজ্ঞাসাটি কখনোই আমাদের মনে উদিত হয় না। বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে বুঝে তার সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা হবে।
খ্রীষ্টীয় ধর্মবাদের মূলে প্রোথিত জিয়োসেন্ট্রিক থিওরী এবং কোপার্নিকাসের প্রবর্তিত যুগান্ত কারী তত্ত্ব যা বিজ্ঞানকে জিয়োসেন্ট্রিক থিওরির গ্রহণী অন্ধকার হতে মুক্তিদান করেছিল সেই হেলিওসেন্ট্রিক থিওরি এ দুই এর কোনোটাই যেখানে পরিপূর্ণ ভাবে সত্য ছিল না যেখানে ঐ জিয়োসেন্ট্রিক তত্ত্বের যুগে বসে কোরআন আজকের উৎকর্ষময় বিজ্ঞানের সত্য ও সঠিক জ্ঞানকে অতি সহজ ভাষায় প্রকাশ করে ছিল।
কোরআনের প্রস্তাবিত সহজ ও বোধগম্য সত্যটি কেবল উপেক্ষা করে যাবার কারণেই মুসলমানরা কোপার্নিকাসের চাইতেও অধিকতর বাস্তব একটি তত্ত্ব দানের সুযোগ গ্রহন করেনি। সুধী পাঠক, আপনার বিস্মময়কে তাক লাগিয়ে পবিত্র কোন আর উভয় তত্বের বিরোধের অতি সুন্দর মীমাংসা করে রেছেছি।