আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা

0/5 No votes

Report this app

Description

যারা মনে করেন যে, ইসরাঈল একটি দূদৈব শক্তি। এ কেবল ফিলিস্তিনের উপর আপতিত হয়েছে। এর লালিত আগ্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী আকাঙ্কা ফিলিস্তিনের সীমানা অতিক্রম করে অন্যের দিকে ধাবিত হবে না তারা রাহূদীদের লক্ষ ও পরিকল্পনা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। বরং বাস্তব সত্য এটাই যে, ইসরাঈলী বিষফোঁড়া আজ আরবদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও ঐতিহাসিক অস্তিত্বের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর উপর আক্রমণ ও দখল কায়েম করার জন্য ইসলাঈল বর্তমানে বস্তুগতভাবে একটি সুসজ্জিত ত্রাস।

ইসরাঈলের ঐতিহাসিক উৎপত্তি সম্পর্কে পর্যালোচনা করলেম যার মধ্যে ইয়াহুদিদের সম্প্রসারণবাদী, আগ্রাসী লালসা ও ভবিষ্যত চক্রজাল পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে। আমাদেরকে ইসরাঈলী সম্প্রসারণবাদের মুখোস উম্মোচনে সাহায্য করবে এবং এর ফলে আরবরাও সজাগ হতে পা্রবে যে, কিভাবে তারা ভবিষ্যৎ ইসরাঈলী আগ্রাসন থেকে নিজেদের দেশগুলোকে রক্ষা করবে।

ইসরাঈলের প্রস্তুতি পর্বকে আমরা দুটি পর্যায়ে ভাগ করে নিতে পারিঃ

  • ১৮৯৭ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বের সময়কালঃ যখন ইয়াহুদীবাদ তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে ব্যাপৃত ছিল।
  • ১৮৯৭ খ্রীস্টাব্দের পরবর্তীকালঃ ইয়াহুদীবাদী আন্দোলন একটি সাংগঠনিক কাঠামো লাভ করলো এবং উক্ত সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাসল নগরীতে অনুষ্ঠিত প্রথম ইয়াহুদী সম্মেলনে গৃহীত উদ্দেশ্য ও লক্ষসমূহ বাস্তবায়ন একটি নিয়মিত কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করলো।

ইসরায়েল কোহেন (Israel Cohen) তার ইয়াহুদীবাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নামক বইয়ে লেখেন যে, ইয়াহুদীবাদী আন্দোলনের প্রধান লক্ষ হল তাদের প্রাচীন স্বদেশ ভূমি ফিলিস্তিনিকে পূর্ণভাবে নিজেদের দখলে ফিরিয়ে আনা।

খ্রীস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইয়াহুদীবাদ বাইবেলের The Bible সাথে তার আত্মিক সম্পর্ক থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং বিভিন্ন উৎসবাদি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও ফিলিস্তিনে পুনরায় ফিরে যাওয়ার ইয়াহুদীদের আকাঙ্কা ছিল পুরোপুরি ধর্মীয় বিশ্বাসের অংগীভূত বিষয়।

১৮৯৭ খ্রীস্টাব্দে সুইজারল্যান্ডের ব্যসল নগরীতে সর্বপ্রথম ইয়াহুদী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরে হার্জেল তাঁর স্মৃতিকথায় লেখেন আমি যদি ব্যাসল সম্মেলনের ফলাফল এক কথায় বলতে চাই যদিও তা আমি প্রকাশ্য ভাবে বলতে চাই না, তবে তা হল এই যে, ইয়াহুদী রাষ্ট্রের ভিত্তি উত্তু ব্যসল সম্মেলনেই স্থাপিত হয়েছে।

কিন্তু এটা এখন যদি আমি সে কথা বলি তবে পৃথিবীর লোকেরা আমাকে টিটকারী দেবে। এটা পাঁচ বছরেও হতে পারে, তবে আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সুনিশ্চিত যে, আমার এই কথা প্রত্যেকেই উপলব্ধি করবে। লোকদের মনে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অংকিত হয়েছে, তা অবশ্যই আমার উক্ত বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments