আরজ আলীর বাড়ির কোন ঘেষিয়াহ আছিলো আলেফ মিয়ার বাড়ি। আলেফ মিয়া পেশায় আছিলেন কৃষক।
লেখাপড়া খুবএকটা জানিতেন না। ধর্মকর্ম করিতেন গুরুত্বের সহিত।
আরজ আলীর মতো এরূপ একজন ঘোর নাস্তিকের প্রতিবেশী হইয়া আলেফ মিয়া এতোটা গুরুত্বের সাহিত ধর্মকর্ম করে ইহা কোনোভাবেই মানিয়া নেয়া সম্ভব না। ইহার জন্য আরজ আলী সর্বদাই সচেষ্ট থাকিতেন আলেফ মিয়াকে ধর্মের অন্ধকার হইতে বাহির করিয়া নাস্তিকতার উন্মুক্ত আলোতে আনিতে।
প্রতিদিনই আরজ আলীর নিকটে নাস্তিকতার বয়ান শুনিতে শুনিতে একদা বিরক্ত হইয়া আলেফ মিয়া কহিলেন “ঠিক আছে, আজ হইতে আমি নার্তিকতার ধর্ম গ্রহণ করিলাম।”
এমন মধুর বানি শ্রবন করিয়ে আরজ আলীর অন্তর শীতল হইয়া গেলো।
দুইদিন পর:
আরজ আলি আলেফ মিয়াকে কহিলেন “আমার দুইটা হংসী রোজ আপনার পুকুর পারে ডিম্ব পারিতো আর আমি আসিয়া ডিন্ব লইয়া যাইতাম, কিন্তু দুইদিন যাবত পুকুর পারে আসিয়া একটা ডিম্বও খুজিয়া পাইতেছি না।
বুঝিতে পারিতেছিনা দুইটা হংসী কি একিসাথে ডিন্ব পারা বন্ধ করিয়া দিলো! “
আলেফ মিয়া কহিলেন “আরে ভাই, হংসী এখনো ডিম্ব পারা বন্ধ করেনাই, দুইটা হংসীই ডিম্ব পারে আর আমি
উহা আনিয়া ঝাঝ লঙ্ক মিসাইয়া গড়ম তৈলে ভাজিয়া তৃপ্তির সহিদ আহার করি। “
আরজ আলী চিল্লাইয়া বলিয়া উঠিলেন “কি! আপনি আমার হংসীর ডিম্ব ভক্ষণ করেন! এমন কর্ম আপনি কি
করিয়া করিতে পারিলেন? ইহা তো অন্যায়। “…
উপরে উল্লেখিত বইটির ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন নিচের ডাইরেক্ট লিঙ্ক থেকে। যদি কোনো সমস্যা হয়, কমেন্ট করে জানাবেন।