আযামন সম্পর্কে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা দলীলসহ নিম্নরূপ- মাসআলা-১: যখন মওয়াযযিন আযান দিবেন তখন তিনি কিবলামুখী হবেন । এটি ফরয বা ওয়াজিব নয়। তবে উত্তম। মাসআলা-২: নারীরা আযান দিতে পারবে না বলে বেহেশতী জেওরে লেখা হয়েছে, যা ভূল। মাসআলা-৩: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ দু বারের পরিবর্তে চারবার চারবার করে বলাকে তাবজী আযান বলা হয়।
এই আযান দেয়া জায়েয। তবে হানাফীগণ তারজী আযানকে গ্রহণ করেন না। জোড়া জোড়া শব্দে আযান দিলে জোড়া জোড়া শব্দে ইকামত দিতে হবে। অপরদিকে একক আযানে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ দু দু বার করে বলতে হয়।
মাসআলা-৪: ফজরে দুটি আযান রয়েছে। একটি ফজর উদয়ের পরে দেয়া হয়। এবং অপরটি শেষ রাতে দেয়া হয়। এটি মূলত তাহাজ্জুদের ছালাতের জন্য দেয়া হয়। ফজরের আযান ব্যতিত অন্যান্য আযাছে আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাঊম বাক্যটি বলা প্রমাণিত নেই। মাসআলা-৫: খত্বীবের মেম্বারে আরোহনের পর জুমআর প্রথম আযান দিতে হবে।
মেম্বারের নিকটবর্তী স্থানে আযান দেওয়া উত্তম। ওছমানী আযানের নামে আমাদে দেশে যে দু আযান চালু আছে জুমআর সময় তা সুন্নাত সম্মত নয়। প্রথমে বাংলা ভাষার আলোচনা করা এবং চার রাকআত নির্দিষ্ট করে সুন্নাত পড়া অতঃপর পুণরায় আযান দিয়ে আরবীতে খুৎবা পাঠ করা নব্য আবিস্কৃত কাজ। খত্বীব ছাহেব মিম্বারে বসার পর মুওয়াযযিন আযান দিবেন।