হাতের অন্ধকারে আলোকিত পৃথিবী দেখা, ঘুম ঘুম চোখে রঙিন দুনিয়ায় প্রবেশ ইত্যাদি তারুণ্যকে ক্রমেই ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইন্টারনেট আসক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকে বলেন যে, মাদকের পরিবর্তিত সংস্করণ হচ্ছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বা ইন্টারনেটে অকারণে অতিমাত্রায় আসক্তি। মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন যে, একান্ত ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি যারা শেয়ার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুদের সমবেদনা দিয়ে থাকেন এ ব্যাপারে উভয়ই অতিমাত্রায় ফেসবুক বা যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত। বলা হচ্ছে, সপ্তাহে ৩৮ ঘণ্টার বা এর বেশি যারা সামাজিক মাধ্যমে ডুবে থাকেন তাদের আসক্তি বলা যায়। মাদক ছাড়া যেমন অনেকে থাকতে পারেন না, সেরূপ ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া থাকতে পারেন না! নেট সমস্যা বা কিছু সময়ের জন্য এ সব মাধ্যম বন্ধ থাকলে হতাশায় রি-অ্যাকশন দিয়ে পোস্ট দেন তাদের মোটা দাগে আসক্ত বলা যায়! যে সব ফেসবুক ব্যবহারকারী একাকিত্বে ভোগেন তারাই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বেশি স্ট্যাটাস দেন। প্রেম বা অন্য ক্ষেত্রে ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বা যারা অযথা ফেসবুক তর্কে লিপ্ত হয় বা প্রশ্ন ছুড়ে উত্তর আশা করে তারাও ফেসবুকে অতিমাত্রায় আসক্ত। দেখা যায় খেলা বা কিছুকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত চরিত্র হননে লিপ্ত থাকে, পারস্পরিক মতামতে অসহিষ্ণু বা অযথা ইস্যু তৈরি করে পারস্পরিক বা অন্যের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে (যেখানে নিজের লাভ লোকসান নেই) গালিগালাজ বা চরিত্রহননের চেষ্টা করে থাকে অনেকে। ফেসবুকে অতিমাত্রায় আসক্ত হলে ‘কাজ নেই তো খই ভাজ’ অবস্থা সৃষ্টি হয়। এটা আমাদের দেশে অতিমাত্রায় হচ্ছে এবং ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে। এ অবস্থা কিন্তু উন্নত বিশ্বে (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ কান্ট্রিতে) বেশি নেই। কুরুচিপূর্ণ এ অবস্থা বাংলাদেশ এবং ভারতে বেশি। এটা ইন্টারনেটের অপব্যবহার বলা যেতে পারে