এটা একান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কিঞ্চিৎ আখ্যান। আমি শুধু আমার সম্পৃক্তির বিষয়গুলো বয়ান করে গিয়েছি। এর বাইরে যে ঘটনার বিপুল ব্যাপ্তি তা অধরাই থেকে গিয়েছে। সেটা অভিজ্ঞজনদের জন্যই তোলা রইল ।
এই লেখায়, আমরা ঘটনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারিনি। যখন যেটা মনে এসেছে, লিখে গিয়েছি। দ্বিতীয়বার নজর বুলাতে গিয়েও নতুন কিছু মনে এলে লিখে দিয়েছি। সব মিলিয়ে লেখাটা অনেক জায়গায় অগোছালো রয়ে গেছে। সেজন্য দুঃখিত। তবে পুরো লেখাটা একটা সফরনামাকে ঘিরে। আবার বর্তমানের কিছু কথাও তখনকার ‘তাজাদম’ সময়ের ঘটনার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এ বিষয়টা মনে রেখে পড়লে খটকা লাগবে না।
আমাদের এই অভিজ্ঞতার কথনকে একটা সূচির মতো দেখার অনুরোধ রইল। প্রায় সব মাদরাসাই এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। আর কিছু মাদরাসা তো আরো হাজারগুণ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। কিছু মাদরাসায় তালাও ঝুলেছিল।
৫ মে আমাদের আমাদের কারবালা। আমাদের ইন্তিফাদা। ৫ মে দিবাগত রাত
আমাদের জন্য বিরাট এক ‘নাকাবা’। আমাদের নাকাসা। আমাদের সাওরাহ।
আমাদের মানযিকাটার। আমাদের পলাশি। আমাদের শামেলি। আমাদের
বালাকোট। আমাদের মহিশূর। আমাদের ১৮৫৭।
যতদিন এই পৃথিবী থাকবে, ততদিন এই রক্তাক্ত স্মৃতি মুছে যাবে না। মোছার নয়। বাংলাদেশ ও বিশ্ব মুসলিম ইতিহাসে এই দিন অমলিন হয়ে থাকবে। আমরা শুধু কুরআনের ভালোবাসায় সেদিন একত্র হয়েছিলাম। আমরা সেদিন শুধু নবীজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশকে সেদিন ছুটে এসেছিলাম।
এ পুস্তিকা মোটেও সামগ্রিক চিত্রের রূপায়ন নয়। এটাকে একটা খন্ড চিত্র বলা যেতে পারে। আরও অনেক কথা রয়ে গেছে। পরের সংস্করণে সেগুলো যোগ করার নিয়ত রইল। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবার মেহনতকে কবুল করুন। আমীন!