আমরা কেমন মুসলমান

0/5 No votes

Report this app

Description

আমার বোনের শ্বশুর দীর্ঘ রোগ ভোগের পর মারা যান( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তার মৃত্যু পরবর্তী কালীন দোয়া অনুষ্ঠানে আমাকেও দাওয়াত দেয় আমার বোন জামাই। যেয়ে দেখি কোথায় দোয়া অনুষ্ঠান? এতো বিরাট ব্যাপার স্যাপার । বাবা যতো দিন অসুস্থ্য হয়ে জীবিত ছিলেন ততদিন তার ছেলে মেয়েরা তাকে সেবা যত্ন করার খুব একটা সময় সুযোগ করে উঠতে পারেন নি।

তাই তার মৃত্যুর পর চল্লিশার মাধ্যমে সেই ঘাটতিটুকু বুঝি পুষিয়ে নিতে চাচ্ছেন। বড় বড় দুইটি গরু আর তিনটি খাসি জবাই হয়েছে, চাল কতো মন তা আমার জানা নেই। দাওয়াত দেয়া হয়েছে প্রায় পাচঁশতরও বেশী মানুষ কে।

হাফেজি মাদ্রাসা থেকে ২০/২৫জন তালেবে এলেম আনা হয়েছে যারা দুলেদুলে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করছে। এদের পড়া দেখে বোঝা যাচ্ছে এইভাবে বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে কোরআন পড়ায় এরা অভ্যস্ত। দূরের কাছের সব আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে বাড়িতে যেনো একটা আনন্দের ঢেউ খেলে যাচ্ছে। কারো মধ্যে এতটুকু শোকের বালাই নেই।

অতগুলো গরু খাসি জবাই আর গোশত তৈরী করতে সারা রাত জাগতে হয়েছে কিছু মানুষকে। তাই তাদের জন্য ভি.সি. ডিব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা রাতভর সিনেমা দেখেছে আর কাটাকাটি রান্না-বান্নার কাজ করেছে। একজন মাওলানা সাব আছেন, তিনি ঘুরে ঘুরে সবকিছু তদারিক করছেন।

খাওয়া দাওয়ার আগেই মিলাদ পড়ালেন। দোয়া করলেন কবরবাসীদের জন্য। তারপর গোরস্থানে যেয়ে করব জেয়ারত কররেন নারী পুরুষ সবাইকে নিয়ে। খাওয়ার পর মাওলানাকে বিদায় করা হলো লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী দিয়ে। তাছাড়াও টাকা চাল ও প্রচুর পরিমানে গোশত। এই অনুষ্ঠানের নাম হলো চল্লিশা বের করা। অনুষ্ঠান শেষ করতে এদের খরছ হলো প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

আমার বোনজামাইকে একটু বোঝানোর চেষ্টা করে বললাম, তোমরা যে কাজটা করছ তা মোটেও ইসলাম সম্মত নয়। সে আমাকে বুঝিয়ে বলল, আপা এসব কথা এখানে বলা যাবে না। এটাই আমাদের এখানকার নিয়ম। এই ঘটনা থেকে জানলাম যে আসলেই আমরা কি মুসলমান হতে ফেরেছি নাকি নামে মুসলমান। বইটি যদি পড়তে চান তাহলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments