মানুষের বিবেক একথাই সাক্ষ্য দেয় যে সারা বিশ্বের মালিক একজনই। এক স্কুলে দুজন হেডমাস্টার থাকলে স্কুলে চলতে পারে না। এক গ্রামে দুজন প্রধান মাতব্বর হলে সেই গ্রামের শৃঙ্খলা ঠিক থাকতে পারে না। এক দেশের দুজন রাষ্ট্রপ্রধান হলে দেশ চলতে পারে না। তাহলে এতো বিশাল সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা একাধিক খোদা বা মালিকের অধীনে কীভাবে চলতে পারে?
পৃথিবীর পরিচালক, নিয়ন্ত্রক একাধিক সত্তা কী ভাবে হতে পারেন?একটি প্রমাণ, মহাগ্রন্থ কুরআন সেই মালিকের বাণী। আল্লাহর বাণী। কুরআন পৃথিবীর কাছে তারঁ সত্যতা প্রমোণের জন্য চ্যালেঞ্জ করছে। আল্লাহ বলেন,আমি আমার বান্দার উপর যা (কুরআন ) অবতীর্ণ করেছি, তাতে তোমাদের সন্দেহ থাকলে
(কুরআন মালিকের সত্য বাণী নয় মনে করলে )অনুরূপ একটি সূরা (কুরআনের অংশবিশেষ) রচনা করে আনো। প্রয়োজনে এ কাজে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সহযোগীদের ডেকে নাও। যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সূরা বাকারা,২:২২)
চৌদ্দশ বছর ধরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, জ্ঞানী, গুনী, গবেষক বুদ্দিজীবী কেউ সক্ষম হয়নি। মাথা নত করে দিয়েছে। বাস্তবে আল্লাহর এই চ্যালেনঞ্জের জবাব কেউ দিতে পারেনি এবং পারবেও না। এই পবিত্র গ্রন্থে মহান স্রষ্টা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়ার জন্য অনেক প্রমান দিয়েছেন।