আমাদের প্রয়োজনেই, এই রীতিনীতিগুলো জানা জরুরী। তাহলে জীবনটা সহজ হয়ে যায়, সুন্দর হয়ে ওঠো।আল্লাহ তাআলার স্বীকৃত নীতি হলো, একশ ডিগ্রী গরম হলে পানি টগবগ করে ফুটতে থাকবে। এই নীতি কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে
এর কমবেশ হবে না । যদি এমন হতো, আজ ত্রিশ ডিগ্রীতে পানি ফুটতে শুরু করেছে। কাল চল্লিশ ডিগ্রী । পরশু পঞ্চাশ ডিগ্রী তাহলে জীবনটা কেমন হতো? টিকে থাকাই দায় হয়ে যেতো । আগুনের ধর্ম হলো পোড়ানো। কেয়ামত পর্যন্ত আগুন এই ধর্মের ওপরই বহাল থাকবে। এর ব্যত্যয় ঘটবে না। ব্যতিক্রম হবে না। এটাই চিরাচরিত বিধান।
ইব্রাহীম আ. আগুনে পোড়েন নি, সেটা মুজিযা। একজন মুমিন মুজিযার তালাশে থাকবে না, বস্তুর স্বাভাবিক যা ধর্ম সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে । খাবার ছাড়া কোনও প্রানী বাচতে পারে না। কোনও মানুষ যদি খাবার ছাড়া কেয়কদিন থাকে, সে মারা যাবে এটাই আল্লাহর বিধান। বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও আল্লাহর বিধান হলো, একটি জাতি একসময় সবল থাকবে, তারপন আস্তে আস্তে দুর্বল থাকবে।
আবর দুর্বলতা থেকে আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকবে। আবার দুর্বলতা থেকে আস্তে আস্তে সবলতার দিকে যাবে। এটা মুসলিম-অমুসলিম সবার ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য।ইতিহাসের আশ্চর্যজনক একটা বিষয় হলো, অদ্ভুতভাবেই সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
সে হিশেবে বলা যায়, আমরা যখন অতীতের কোন ও ইতিহাস পড়ি, প্রকৃত পক্ষে সেটা শুধু অতীত নয়, ভভিষ্যতেরও ইতিহাস । কারণ অতীত যা ঘটেছে, মোটা দাগে সেটা ভবিষ্যতেও ঘটবে। একজন মুমিন কিভাবে ইতিহাস পাঠ করবে? তার ইতিহাস পাঠের ধরন হবে।