মানুষ তা ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন তার যুক্তিনির্ভর সমাধান রয়েছে বক্ষ্যমান গ্রন্থে। ঈমান, তাহারাত,তায়াম্মুম, সালাত, মুসাফিরের নামায, জুমুআ, সূর্যগ্রহনের নামায ও যানাযা বিষয়ক খুটিনাটি বিভিন্ন মাসায়েল হানাফী চিন্তাধারায় আলোচনা ও ব্যাখ্যা করেন।
১৪৩৫ হিজরির রামাযানের আগে থেকেই কিছু কিছু প্রকাশনী আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ”র উপর কাজ করার জন্যে অধম বান্দাকে ফরমায়েশ করে আসছিল। সঙ্গত করণে দারসি কিতাবাদির উপর এ ধরণের কাজ করার প্রতি আমার কোনো দিলচসপি নেই। ফলে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে দেখাতে চলে গেল বহুদিন। কিন্তু ফরমায়েশ অব্যাহত ছিল এবং পরিচিত মহল থেকে জোন তাগিদও আসছিল। অবশেষে সম্মতি প্রকাশ করতেই হল।
সিলেটের বিয়ানীবাজারস্থ জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহম্মাদপুরের উস্তদ ও তরুণ বুদ্ধিজীবী মাওলানা মাহফুয আহমদ সাহেব উক্ত গ্রন্থটি আরবী থেকে বাংলায় ভাষান্তর করেন। আমি অনুদিত গ্রন্থটির পান্ডু দেখেছি।মাশাআল্লাহ তার অনুবাদ সহজ সাবলীল ও গতিময়। তার অনুবাদে মুল ভাবধারার তেজ ও আমেজ অক্ষুন্ন রয়েছে।
পড়লে মনে হয়না অনুবাদ । এটা অনুবাদকের স্বার্থকতা ও কৃতিত্ব। পর্যালোচনাও পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ অনুবাদক হানাফিদের সমর্থণে গায়রে মুকাল্লিদদের বরণীয় মনীষীদের বহু উক্তি উদ্ধৃত করে বক্তব্যকে যৌক্তিক ও দলিলনির্ভর করেন। গ্রন্থটির শুরুতে মাওলানা মাহফূয আহমদ সাহেব লিখিত হাদিস অধ্যয়ন ও অনুসরণ কিছু মৗলিক কথা শীর্ষক নিবন্ধটি গবেষণাসমৃদ্ধ ও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।