ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য তিনি মানুষের মধ্যে চিন্তার বিপ্লব ঘটান, চরিত্রের বিপ্লব ঘটান এবং এরি ধারাবাহিকাতয় সমাজ ও রাষ্ট্র বিপ্লব সংঘটিত করেন। এই পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব প্রতিক্রিয়ায় তিনি যে সুদক্ষ ও সুনিপুন নেতৃত্ব দান করেছিলেন, তাই সর্বকালের ইসলামি আন্দোলন ও নেতৃত্বের আদর্শ। এই বিপ্লবী আন্দোলনে তিনি যে কর্মনীতি ও কর্মকৌশল অবলম্বন করেছিলেন, তা-ই সর্বকালের ইসলামি আন্দোলনের কর্মনীতি ও কর্মকৌশলের মডেল।
মুহাম্মদ রসুলুল্লাহ সা. স্বঘোষিত নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন আল্লাহর রসুল, আল্লাহ কর্তৃক নিযুক্ত নেতা। কুরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা তারঁ তিনটি অনন্য বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো,
১। তিনি আল্লাহর সর্বশেষ নবী । তারঁ পরে আল্লাহ আর কোনো নবী-রসুল নিযুক্ত করবেন না।
২। তিনি কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহর রসুল।
৩। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্বাসীর জন্যে এক বিশেষ অনুকম্পা, রাহমাতুল লিল আলামীন।
সে জন্যে আল্লাহ পাক তাকেঁ নিখুঁতভাবে আদর্শ মানুষ ও আদর্শ নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি ছিলেন সর্বগুনে গুণান্বিত পূর্ণাঙ্গ মানব বা ইনসানে কামিল (perfect Man)। ব্যক্তিত্বে, নেতৃত্বে, নৈতিকতায়, জ্ঞানে , গুনে , প্রজ্ঞায়, দয়ায়, দক্ষতায়, সাহসে, শাসনে, সুন্দরে, সৌন্দর্য, পূণ্যে, পবিত্রতায়, দানে দরদে, দারিদ্রে, ধের্য, সততা, বিশ্বস্তায়, সর্বোপরি সর্বগুনে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ এবং সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ নেতা।