ইসলাম কি ধরণের মানুষ চায়, কি ধরণের চরিত্র সে গঠন করতে চায়, এই পৃথিবীতে একজন মানুষের কি ধরণের আচরণ হওয়া উচিৎ , বিশেষ করে যে ব্যক্তি ইসলামকে নিজের জীবনের বিধান হিসেবে মেনে নিয়েছে। মহানবী সাঃ যা কিছু মানুষের কাছে পেশ করেছেন তিনি নিজে ছিলেন তার মূর্ত প্রতীক।
এ দাওয়াত শুনে এবং তার বাস্তব নমুনা দেখে আল্লাহর বান্দহদের মধ্যে থেকে তারাই মহানবীর সাঃ সাথে শরীক হতে শুরু করলেন যারা পূর্ণ ঈমানদারী, আন্তরিকতা ও প্রজ্ঞার সাথে এ বিষয়কে জেনে বুঝে গ্রহণ করেছে। না বুঝে একজন মানুষও নবীর সাঃ ডাকে সাড়া দেয়নি। যখন কোনো ব্যক্তি জেনে শুনে তার সাথে এসেছে তখন সে তার জীবনকে তারই ইচ্চা মোতাবেক সাজিয়ে নিয়েছে।
যে ভাবে রাসূলের সাঃ দাওয়াত তার কাছে দাবী করেছে সে ভাবেই সে চলতো। এই ১৩ বছরে মক্কায় যতো লোক ইসলাম গ্রহণ করলো তাদের জীবনে ইসলামের ঈপ্সিত লক্ষ্য অনুযায়ী বাস্তবে বিরাট পরিবর্তন সাধিত হলো। শুধু এটুকুই নয় যে তাদের জীবন পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বরং এই পরিবর্তনের পথে ভেতর ও বাইরের যতো শক্তি বিরোধিতা করেছে ।
সব কয়টারে সাথেই তারা সংগ্রাম করেছেন। যতো বড়ো ত্যাগ মানুষের কোনো উদ্দেশ্যের জন্যে দিতে পারে তারা তাই দিয়েছেন। বিরাট বিরাট ক্ষতি বরদাশত করেছেন। এ জন্যে যে তাদের কাছে সর্বাধিক মূল্যবান বিষয় ছিলো তা তারা ইসলামের মাধ্যমে পেয়েছেন। এই বিষয়টিকে তারা অন্য কিছুর জন্যে কোরআন করতে প্রস্তুত ছিলেন