ধর্মীয় নানা বিশ্বাসগত বিষয় ছাড়াও এই সূরার কয়েকটি মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে- প্রথম মানব হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টির ব্যাখ্যা, মানুষের প্রতি হুঁশিয়ারি, মানুষকে সুপথ দেখানোর ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে নেয়া মহান আল্লাহতায়ালার অঙ্গীকার, তাওহিদ বা একত্ববাদ ও সুপথ থেকে বিচ্যুত নানা জাতির পরিণতি, প্রকৃত মুমিনদের বিজয়, অতীতের কয়েকটি জাতির ও কয়েকজন নবীর (আ.) ঘটনা।
সূরা আরাফে সাংস্কৃতিক, চারিত্রিক ও নৈতিক নানা বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয়েছে। যেমন, কোরআনে কারিম ঐশী বা খোদায়ি গ্রন্থ, এর অনুসরণ করার অপরিহার্যতা, মিজান কী, হজরত আদম (আ.)-এর ঘটনা ও এর নৈতিক পরিণতি, মানবজাতির জন্য উপদেশ এবং কিয়ামত সংঘটনে ক্ষণকালও দেরি না হওয়া বা নির্ধারিত সময়ের এক মুহূর্ত আগেও তা না ঘটা- ইত্যাদি।
সূরা আরাফের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় হিসেবে অপচয়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা, আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস স্থাপনকারী কাফেরদের অন্তিম অবস্থা, আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব সাধ্যের বেশি না হওয়া, জান্নাতবাসীদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন, আরাফের বর্ণনা, জাহান্নামীদের কামনা ও প্রার্থনার আদেশও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।