আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু তাকেঁ বিবাহ করেন। তিনি অত্যন্ত তীক্ষ্নধী ও বুদ্ধিমতী মহিলা ছিলেন। তিনি ইসলামের গুরুতেই সত্য গ্রহন করেন এবং মুসলমান হন। পরের হিজরতের সৌভাগ্যও নসীর হয এবং দীনে হকের পথে তারঁ খ্যাতনামা স্বামী যে দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেন, তাতে তিনি তারঁ সাতে নিয়মিত অংশীদার ছিলেন।
তারঁ সততা ও একনিষ্ঠা দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেনঃ যে ব্যক্তি এ দুনিয়ার জান্নাতের হুর দেখতে চায়, উম্মু রূমানকে দেখে নিক।হযরত আয়েশা রাঃ কোন সনে জন্মগ্রহন করেন, সে বিষয়ে কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। প্রবল ধারণা হচ্ছে, তিনি হিজরতের এগার/বারো বছর পুর্বে ভুমিষ্ঠ হন।
এ হিসাবে রাসুলে করীম সাঃ এর বিবাহ বন্ধনে আসার সময় তার বয়স চৌদ্দ বছরের কাছাকাছি দাড়ায়।রিওয়ায়াতসমূহ থেকে জানা যায় যে, হযরত আয়েশার গাযের রং লাল- সাদা ছিলো। এজন্যেই রাসুলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকেঁ হুমায়রা নামে ডাকতেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাঙ্গী।
যে কয়জন গৌরবজনক মহীয়সী মহিলামর উল্লেখ ব্যতিরেকে ইসলামের ইতিহাস পূর্ণ হতে পারে না হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তাদের অন্যতমা। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়তমা স্ত্রী। তাকওয়া ও পবিত্রতা উচ্ছমর্যদা তিনি অর্জন করেছিলেন। জ্ঞান বিদ্যাবত্তা, ফিকহ ও ইজতিহাদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি। রাসুল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবন তিনি গবীর দৃষ্টিতে পর্যবক্ষেণ করেছিলেন।