উইঘুরের কান্না

0/5 No votes

Report this app

Description

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেও প্রাচীন এ সম্প্রদায়ের লোকদের উইদ্ুর না বলে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ডাকা হতো । মূলত, ১৯২১ সালে উজবেকিস্তানে এক সম্মেলনের পর উইঘ্ুররা তাদের পুরোনো পরিচয় ফিরে পায়। ভাষাবিদ ও ইতিহাসবেত্তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন যে উইঘুর’ শব্দটি “উয়্যুঘুর’ শব্দ থেকে এসেছে।

উইঘুররা মুলত তুর্কি বংশোদ্ভুত একটি জাতিগোষ্ঠী। চীনের উত্তর- পশ্চিম অংশের বিশাল এলাকাজুড়ে জিনজিয়াং প্রদেশে তাদের বসবাস। তারা এখানে প্রায় চার হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে উইঘুররা চীনের ৫৬টি নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী বা উপজাতির মধ্যে একটি । তাদের অধিকাংশই মুসলিম ।

উইদ্বুররা যেভাবে মুসলিম হল

প্লাবন পরবর্তী সময়ে নৃহ (আঃ) এর তিন পুত্রের মাধ্যমে দুনিয়ায় আবার মানব বসতি শুরুর কথা । তিন পুত্র সীম, হাম আর ইয়াফেস ছড়িয়ে পড়েন তিনটি ভিন্ন অঞ্চলে । সাম আরবে, হাম আফ্রিকায় আর ইয়াসেফ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া তথা খোরাসান ও হি্দুত্তানে। ইয়াফেসের ছিল ৮ পুত্র । তুর্ক, খাজার, সাকলাব, রাস, মিং, চিন, কেমেরি এবং তারিখ । পিতার পছন্দে প্রথম সন্তান “তুর্ক’ এর নামানুসারে সমগ্র অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠির নাম ঠিক হয় তুর্ক বা তুর্কি। পিতা ইয়াফেসের পর পুত্র তুর্কই হাল ধরেন সাম্বাজ্যের।

এরপর বংশ পরম্পরা অনুযায়ী শাসন চলতে থাকে । তুর্ক তার পরবর্তী কর্ণধার ঠিক করে যান ইসিক কুলকে। ইসিক কুল ঠিক করে যায় তুতেককে। এর চার প্রজন্ম পরে আসে তাতার এবং মঘুল বা মোঘল। তাতার ও মঘ্ুলরা সাম্রাজ্যকে দুইভাগ করে নেন নিজেদের মধ্যে । মঘুল খান থেকে সাম্রাজ্যের ভার আসে কারা খানের কাছে। কারা খান থেকে ওঘুজ
খানের কাছে।

ওঘুজ খানকে নিয়ে অনেক রুপকথা প্রচলিত আছে তুর্কিদের মধ্যে । বলা হয়ে থাকে, জন্মের পরই কথা বলতে শুরু করে শিশু ওঘুজ | শুধু তাই নয়, অবিশ্বাস্য গতিতে ওঘুজের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে । মাত্র চল্লিশ দিন বয়সে পরিপূর্ণ যুবকে পরিণত হয় ওঘুজ। সেসময় রাজ্যে এক ভয়ানক ড্রাগনের হামলা সবাইকে আতঙ্কিত করে তোলে । মোকাবেলা করার কেউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments