আন্দামানের সেলুলার জেল সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা শ্রী বিজয়লাল ব্যানার্জীর অনুসন্ধান থেকে জানা যায়,‘সেলুলার জেলে যাদের ব্রিটিশ সরকার পাঠিয়ে ছিল, তাঁরা কেউ অহিংস আন্দোলনের সত্যাগ্রহী নন। প্রত্যেকেই সশস্ত্র আন্দোলনের পথিক বীরসেনানী। এরও আগে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ) ও ওয়াহাবী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে উপমহাদেশের (বর্তমান ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) বিভিন্ন প্রান্তে যারা বিদ্রোহ করেছিলেন ব্রিটিশ শাসন-শােষণের বিরুদ্ধে, তাঁদের অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকের স্থান হয়েছিল আন্দামানের বিভিন্ন কারাগারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে সেলুলার জেলে। তারাও ছিলেন একইভাবে সশস্ত্র সংগ্রামের বীরসেনানী। জীবন উৎসর্গ করার সাহস-শক্তির দিক থেকে আন্তরিক দেশপ্রেমের দিক থেকে তাদের মধ্যে পার্থক্য করার সুযােগ তেমন নেই। তবে পার্থক্য একটা ঘটে বটে, সেটা পরের দিকে, যখন পরবর্তী পর্যায়ের বিপ্লবীরা দেশমাতৃকার স্বাধীনতা ও সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকে তাদের মূল লক্ষ্য হিসেবে। বেছে নিয়ে জেলে এবং জেল থেকে বেরিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগ্রাম পরিচালনা করেন।