শবে বরাত : প্রান্তিকতাহীন প্রামাণ্য একটি পর্যালোচনা
(গুরুত্বপূর্ণ এ প্রবন্ধটি একটু নাতিদীর্ঘ হলেও আশা করি, এ থেকে সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্লেষণ জানতে পারবেন। বিভিন্ন প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে ভালো করে আর্টিকেলটি পড়ুন। ইনশাআল্লাহ দলিলের আলোকে বাস্তব বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।)
প্রতি বছর শাবানের পনেরো তারিখ আসলেই এটাকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোনা চলতে থাকে। কারও মতে এটা শবে কদরের মতোই বা তার চেয়েও দামী একটি রাত। আর ভিন্ন আরেক দলের নিকট এটা একেবারেই সাধারণ একটি রাত, যার বিশেষ কোনো ফজিলত নেই। আসলে বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞতা কিংবা সঠিক পর্যালোচনার অভাবেই মানুষের মাঝে এমন মানসিকতা গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে যেমন অধিক বাড়াবাড়ি কাম্য নয়, ঠিক তেমনই বেশি ছাড়াছাড়িও উচিত নয়। উভয় প্রান্তিকতাই বর্জনযোগ্য। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটিতে আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ বিষয়ে পূর্ণ সতর্কতার সাথে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তুলে ধরছি। আশা করি, এতে শবে বরাতে আমাদের করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সম্যক একটি ধারণা দিতে পারব।
আলোচনাটিকে আমরা চারটি ভাগে বিভক্ত করে করব।
এক : শবে বরাতের প্রামাণ্যতা ও ফজিলত
দুই : শবে বরাতের বিশেষ আমলের বিধান
তিন : শবে বরাতে করণীয় কাজসমূহ
চার : শবে বরাতে বর্জনীয় কাজসমূহ
প্রথম আলোচনা : শবে বরাতের প্রামাণ্যতা ও ফজিলত
এ পর্যায়ে আমরা দেখব, কুরআন-সুন্নাহয় শবে বরাতের অস্তিত্ব বা ফজিলত পাওয়া যায় কিনা? এ ব্যাপারে সঠিক মত হলো, কুরআনে এর আলোচনা আসেনি। তবে সহিহ হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত। অনেকেই সুরা দুখানের একটি আয়াত দ্বারা শবে বরাত প্রমাণের চেষ্টা করেন। মূলত এটা সঠিক নয়।