বলতে পারো অতীতের কোন স্মৃতিটা মানুষকে সবচে’ বেশি হাতছানি দিয়ে ডাকে, ডেকেই চলে অবিরত?
জানি না, উত্তরে তুমি কী বলবে। তবে আমার মতে- সে হলো দাদী’র গল্পের আসর!
আহা! কী মধুময় সেই স্মৃতি!
শৈশবকালে দাদীর কাছে গল্প শোনার সেই গাল-ফোলানো ও কপাল কুঁচকানো বায়না-র কথা – কে ভুলতে পারে?
শিশু হয় কিশোর, তারপর পরিণত যুবক। তখনও সে ভুলতে পারে না চাঁদনি রাতের মায়াবী জোৎস্নায় দাদী’র গল্পের আসরের সেই স্মৃতি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে গল্পের প্রতি তার এই ঝোঁক ও আকর্ষণ। তার কেবলই ছুটে যেতে ইচ্ছে করে – সেই হারানো শৈশবে, মাদুরপাতা উঠানে, দাদী’র কাছে, চাঁদনি রাতের সেই গল্পের আসরে!
পাঠক! আমার বড় কষ্ট লাগে যখন গল্পের প্রতি শিশু- কিশোরদের দের এই ঝোঁক ও আকর্ষণকে কাজে লাগাতে আমরা ব্যর্থ হই। আর আমাদের এই ব্যর্থতায় দুশমনরা আমাদের গল্পপ্রিয় শিশু- কিশোরদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় গল্প নামের বিষ! আমাদের এই গাফিলতির জন্য আল্লাহ কি আমাদেরকে ক্ষমা করবেন?