আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার নিকট প্রচুর হাদিয়া উপহার আসতো। তার নির্দেশ ছিল যে, প্রতিটি উপহারের বিনিময় প্রদান করতে হবে। হজরত আমীর মোয়াবিয়া (র.)-এর নিকট তাঁর আবাসগৃহ বিক্রি করে দেন এবং বিক্রিলব্ধ সমুদয় অর্থ আল্লাহর রাস্তায় দান করেছেন। উম্মুল মোমেনিনের জীবন অনুরূপ ঘটনাবলীতে পরিপূর্ণ।
কোনো কোনো সাহাবা বর্ণনা করেছিলেন যে, নামাজির সামনে দিয়ে যদি নারী, কুকুর এবং গাধা যায় তাহলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে। বর্ণনাটি শোনার পর উম্মুল মোমেনিন মন্তব্য করেন এটি কোন হাদিস নয়। যারা এ বর্ণনা করছে তারা খুবই মন্দ কাজ করছে। তারা নারীকে পশুর সাথে তুলনা করছে। এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজ পড়তেন এবং আমি তার সামনে শুয়ে থাকতাম। আরো বিভিন্ন বর্ণনা হতে জানা যায় যে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, যখন হুজুর (সা.) নামাজের সেজদা করতে চাইতেন তখন আমার পা ঠেলে দিতেন এবং আমি পা সংকুচিত করে নিতাম (আবু দাউদ)। ফকিহগণের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন যে, নারী এমন অপবিত্র বস্তু, সে ছুঁইলে অজু ভেঙে যাবে কিন্তু উম্মুল মোমেনিনের উল্লিখিত বর্ণনা তাদের ইজতেহাদী ভুলের মুখোশ উম্মোচিত করে দেয়।