কেন ইসলাম গ্রহণ করছে পশ্চিমারা

0/5 No votes

Report this app

Description

পাশ্চাত্যের মানুষ গুরুত্ব দেয় শারীরিক শান্তির দিকে। অর্থাৎ ভোগ বিলাসের দিকে। তাদের গুরুত্ব শারীরিক শান্তি ও সুখের দিকে। আর পৃথিবীর অধিকাংশ ধর্মই গুরুত্ব দেয় আত্মার উন্নতির দিকে। আলহামদুলিল্লাহ, ইসলামে এ দুটোই আছে। ইসলাম আমাদের শারীরিক সুখ শান্তির পাশাপাশি আত্মার উন্নতির দিকেও গুরুত্ব দেয়। ‘ইসলাম’ শব্দটি উৎপন্ন সালাম থেকে। যার অর্থ শান্তি। এর আরেক অর্থ হলো মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা। অর্থাৎ, ইসলাম হলো নিজের ইচ্ছাকে মহান আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে শান্তি লাভ করা।

পবিত্র আল কোরআন হলো আল্লাহ প্রদত্ত আসমানি গ্রন্থ। যা অবতীর্ণ হয়েছিলো সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ওপর। পবিত্র আল কোরআন সমস্ত জ্ঞানের আধার। গাফেলদের প্রতি সতর্কবাণী। বিপথগামীদের জন্য পথ প্রদর্শক। নিপীড়িতদের সান্ত্বনার বাণী। আর হতাশাগ্রস্তদের জন্য আশার আলো।

পশ্চিমারা মুক্ত মনের মানুষ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো রক্ষণশীল নয়। কুসংস্কার থেকেও তারা অনেকটা দূরে। প্রাচ্যের কিছু দেশে লক্ষ করা যায় যে, এরা কিছুটা রক্ষণশীল এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন। একজন লোক ইসলামকে ভালোবাসলেও পারিপার্শ্বিক সমাজকে ভয় পায়। সমাজ তাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। তার সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে। এমনকি জীবন বিপন্ন হওয়াও সম্ভব। এই রকম সমাজের মানুষ অত্যন্ত সংকীর্ণ মনের অধিকারী।

আরেকটা কারণ হলো পশ্চিমারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে অনেক উন্নত। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এর বাণী, ‘ধর্মহীন বিজ্ঞান পঙ্গু এবং বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ’ তাই পশ্চিমারা মনে করেন, কোনো কিছুকে বিচার বিশ্লেষণ করার সবচেয়ে বড় মানদণ্ড হলো বিজ্ঞান। ছয় হাজারের অধিক আয়াত রয়েছে এই পবিত্র গ্রন্থে। যার মধ্যে হাজারেরও বেশি আয়াতে বিজ্ঞানের কথা বলা হয়েছে।

আল কোরআন বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। বিজ্ঞান আজ যেটা বলছে আল কোরআন সেটি ১৪০০ বছর আগে বলেছে। পশ্চিমা লোকেরা যুক্তি দিয়ে বুঝতে চায়। তারা অন্ধের ন্যায় কিছু মানতে চায় না। এক্ষেত্রে তাদের হাতে অনেক সুযোগ রয়েছে পবিত্র কোরআন অর্থ সহ বুঝে পড়ে নিজের সন্দেহ দূর করার।

পবিত্র কোরআন বলছে, তারা যেন বুঝে শুনে বিশ্বাস করে। আর আলহামদুলিল্লাহ, পশ্চিমের বেশির ভাগ লোক বুঝে শুনে কাজ করে এবং তারা প্রশ্ন করে থাকে। প্রমান না পাওয়া পর্যন্ত তারা সেটি মানতে নারাজ। পবিত্র কোরআন মাজীদ বুদ্ধিমান মানুষকে সন্তুষ্ট করে। বর্তমান যুগের মানুষ, বিশেষ করে পশ্চিমারা খুবই ব্যস্ত থাকে। সব সময় নতুন দার্শনিক তত্ত্ব আর নতুন নতুন জিনিস আসছে। সবকিছু পরীক্ষা করার সময় আমাদের হাতে নেই। এখন আপনি যদি নতুন কোনো ফিলসফি কিংবা থিউরি নিয়ে আসেন, তাহলে তারা দেখবে যে একে ভুল প্রমান করা যায় নাকি। এটাকে ‘ফলসিফিকেশন টেস্ট’ বলে। পশ্চিমারা ফলসিফিকেশন টেস্টে বিশ্বাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook comments