মুসলিমদের মাঝে একতা
আজকের বিশ্বে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ইস্যু তা হল , মুসলিম উম্মার মধ্যে একতা । সামান্য কয়েকজন মুসলিম বিশ্বাস করে যে , কুরআন অর্থ না বুঝে পড়লেও চলবে । তবে বেশির ভাগ – ই মনে করে কুরআন অর্থ বুঝে পড়তে হবে । সামান্য কিছু মুসলিম বলে দাওয়াহ ( দ্বীনের পথে আহবান ) দেওয়ার প্রয়োজন নেই । তবে বেশির ভাগ বলে দাওয়াহ দেওয়া উচিত । যার কারণে এই আলোচ্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
এই বিষয়টির সাথে আমরা সব মুসলিম জড়িত আছি । আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন । ইনশা আল্লাহ ! আপনাদের উপকার হবে । আর পাশা – পাশি ধর্মের সত্যিকার চিত্রটা তুলে ধরা হবে । আমার লেকচারটি হল মুসলিম উম্মার একতা সম্পর্কে । আমি হয়তো সবগুলো দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারব না । তবে প্রধান প্রধান বিষয়গুলো উল্লেখ করব ।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণ ১ নং : মুসলিম উম্মার মধ্যে একতা না থাকার অন্যতম কারণ হল আমাদের মাঝে অনেক সম্প্রদায় । এছাড়া এখনকার মুসলিম উম্মার মধ্যে অনেকগুলো মতবাদ প্রচলিত রয়েছে । এটাকে বলতে পারেন মাযহাব , অথবা বলতে পারেন মাসলাক , কিংবা বলতে পারেন মুসাল্লা । তাহলে প্রধান কারণ হচ্ছে মুসলিম উম্মার মধ্যে এখন অনেকগুলো সম্প্রদায় । অনেক মতবাদ ।
দাওয়াত দেয়ার কৌশল
আপনারা হয়তো জানেন দাওয়াত দেয়ার মাষ্টার কি , অথবা ইসলাহ দেওয়ার হিকমত কী ? এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন : তা হল , পবিত্র কুরআনের পরে সব চেয়ে সেরা জ্ঞানের উৎস কোনটি ? উত্তর আসবে নবী ( ) এর হাদীস । এতে কোন রকম মতভেদ নেই । এটাকে কেউ বলে সুন্নাহ কেউ বলে হাদীস । কোন মতভেদ নেই । সবাই একথাকে মেনে নিবে কোন সন্দেহ নেই , চাই সে ব্যক্তি যে কোন মাযহাবের – ই হোক না কেন ।
সে মেনে নিবে ইসলামের প্রথম উৎস কুরআন , এরপর হাদীস । এখন , আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে , হাদীসের প্রকারভেদ আছে । কিছু হল সহীহ হাদীস । এ হাদীসগুলো হল শক্ত হাদীস , খাঁটি । আর কিছু হাদীস আছে যেগুলো যঈফ হাদীস , এগুলো হল দূর্বল হাদীস । কিছু হাদীস আবার মাওযু , উদ্ভাবিত বানানো হাদীস । মুসলিমরা কোন হাদীসগুলো মেনে চলবে ? সহীহ হাদীস ।
তাহলে আমরা যে বিষয়টি জানতে পারলাম তা হল ইসলামের প্রথম উৎস আল কুরআন , দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল নবী ( ) এর হাদীস । নবীজির বিভিন্ন কথা ও কাজ । এই হাদীসগুলোর মধ্যে আমরা যেগুলো মানবো সেটা হল সহীহ হাদীস , কোন মতভেদ নেই ৷